জামায়াতে ইসলামী : রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানি ৩১ জুলাই

আগের সংবাদ

ভোটের আমেজে তৃণমূলে ঈদ : শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে এলাকায় আ.লীগ নেতারা

পরের সংবাদ

তাহিরপুরের বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় : প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার অবৈধ নিয়োগ লাভের অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম ধানুর বিরুদ্ধে এবার নিয়ম বহির্ভূত ও অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভের অভিযোগ করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ ৩ অভিভাবক সদস্য। এর আগে জেলা প্রশাসক, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমির শাহ্ ও অভিবাবক সদস্য মো. আজিজুর রহমান, সিরাজ মিয়া, মোক্তার হোসেন (শিক্ষক)।
গত রবিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম ধনুর বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূত ও অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমির শাহ্ এবং ৩ অভিভাবক সদস্য মো. আজিজুর রহমান, সিরাজ মিয়া ও মোক্তার হোসেন (শিক্ষক)।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষক পদে অনিয়ম ও অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তিনি। নিয়োগকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষকের অভিজ্ঞতা থাকা ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার সময় তার তা ছিল না।
১৯৯৪ সালের ৮ মের দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল শূন্য পদে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ প্রধান শিক্ষক, একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও কৃষি বিজ্ঞানে তিন বছরের ডিপ্লোমাধারী একজন শিক্ষক আবশ্যক। এছাড়া স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষকের চাকরি বিধিমালা ১৯৭৯ সালে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা উল্লেখ ছিল বিএডসহ দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমমানের ডিগ্রি এবং শিক্ষকতায় বা শিক্ষা প্রশাসনে দশ বছরের অভিজ্ঞতা অথবা ২য় শ্রেণির ব্যাচেলর ডিগ্রিসহ ২য় শ্রেণির বিএড ডিগ্রি অথবা যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর সমমানের ডিগ্রি এবং শিক্ষকতায় বা শিক্ষা প্রশাসনে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা অথবা বিএডসহ ব্যাচেলর ডিগ্রি যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর সমমানের ডিগ্রি এবং শিক্ষকতায় বা শিক্ষা প্রশাসনে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা।
সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী তিনজনেরই বিএড প্রশিক্ষণ ও কাম্য অভিজ্ঞতা থাকার কথা ছিল। কিন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বিএড প্রশিক্ষণ ও কাম্য অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগপ্রাপ্ত হন। অভিযোগে আরো বলা হয়, অযোগ্য ও অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কারণে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ও বিদ্যালয়টির নিয়মশৃঙ্খলার চরম অবনতিসহ সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিদ্যালয়ের স্বার্থে ও শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো আমার প্রতিপক্ষের লোকজনের ষড়যন্ত্র। তাছাড়া আমি বিদ্যালয়ে যোগদান করেছি ১৯৮৭ সালে। তখন আমি সহকারী শিক্ষকের গ্রেডে বেতন নিয়েছি। এরপর ২০১০ সাল থেকে আমি প্রধান শিক্ষকের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছি। তাহলে আমার নিয়োগ কেন অবৈধ হবে?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়