কাগজ ডেস্ক : উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে। দুই পক্ষই ব্যাপক লড়াই চালাচ্ছে এবং এই ভারি সংঘর্ষের মধ্যেই দেশটির শক্তিশালী একটি ঘাঁটি দখলে নিয়েছে আধা সমারিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। ঘাঁটিটি ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একটি পুলিশ ইউনিটের মূল ঘাঁটি। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পুলিশ ইউনিটের মূল ঘাঁটি দখল করে নেয়ার কথা জানিয়েছে আরএসএফ। এক বিবৃতিতে আধাসামরিক এই বাহিনী বলেছে, তারা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশের দক্ষিণ খার্তুমের বৃহৎ ঘাঁটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পরে এই বাহিনী তার যোদ্ধাদের ওই স্থাপনার ভেতরে আনন্দ উদযাপন করার ফুটেজ পোস্ট করে যেখানে গুদাম থেকে গোলাবারুদের বেশ কিছু বাক্স সরিয়ে ফেলার দৃশ্যও দেখা যায়।
আরএসএফ পরে জানায়, ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর তারা ১৬০টি পিক-আপ ট্রাক, ৭৫টি সাঁজোয়া যান এবং ২৭টি ট্যাঙ্কও দখলে নিয়েছে। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে ওই ভিডিও ফুটেজ বা আরএসএফের বিবৃতি যাচাই করতে সক্ষম হয়নি। এছাড়া সুদানের সেনাবাহিনী বা পুলিশের পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত ১৫ এপ্রিল সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। প্রাণঘাতী এই লড়াই ১১তম সপ্তাহে পড়েছে এবং গত শনিবার রাতে থেকে খার্তুম, বাহরি এবং ওমদুরমান- এই তিনটি শহরে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বেড়েছে।
এছাড়া পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের বৃহত্তম শহর নিয়ালায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সহিংসতার তীব্রতা বৃদ্ধির কথাও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। পশ্চিম দারফুরের এল জেনেইনায় জাতিগত হামলা এবং মাসালিত সম্প্রদায়ের লোকদের হত্যার ঘটনায় গত শনিবার জাতিসংঘ সতর্কতাও উচ্চারণ করেছে।
রয়টার্স বলছে, চলমান যুদ্ধে খার্তুম এবং এল জেনেইনা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও গত সপ্তাহে দারফুরের অন্যান্য অংশে এবং দক্ষিণে কর্ডোফানে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ বেড়েছে। মূলত জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের নেতৃত্বে সম্মত হওয়া যুদ্ধবিরতি ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে লড়াই আরো তীব্র হয়েছে।