কাগজ প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তারা রাজনৈতিক কর্মী আর সন্ত্রাসী গুলিয়ে ফেলেছেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে পার্থক্য তারা বুঝে না। বিএনপির কর্মসূচি সন্ত্রাসনির্ভর, রাজনীতির নামে তারা সন্ত্রাস করেন। এখানেই বিপত্তি।
গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ড. কামরুল হাসান সম্পাদিত ‘সংবাদপত্রে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও গ্রন্থকার মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কারো ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে না। যারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে এবং এখনো করছে, মির্জা ফখরুল সাহেবদের নেতৃত্বে যারা এখনো রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করছে, তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নিতে হবে।
‘পদত্যাগের দাবিতে মানুষ রাস্তায় নেমেছে দেখে সরকারের সিংহাসন টলমল করছে’-রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, রিজভী সাহেব কি এসব কথা জেগে বলেছেন না ঘুমিয়ে বলেছেন, তার মানসিক স্বাস্থ্য কেমন-সেটি আমার প্রশ্ন। দেশের কোথাও তারা তাদের কর্মীদেরও নামাতে পারেনি, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। আসলে দুশ-চারশ মানুষ নিয়ে তারা মিটিং করতে অভ্যস্ত এখন দুই চার হাজার দেখে মাথাই নষ্ট হয়ে গেছে তার।
চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অনিবন্ধিত আইপি ও ক্যাবল টিভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বৈধ টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রতি মাসে শুধু বিটিআরসিকে ২০ লাখ টাকার বেশি ফি দেয়। এসব টিভিতে অনেক সাংবাদিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখন যে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায় টিভি চ্যানেলের মতোই বুম আর ছোট ক্যামেরা নিয়ে হাজির হয় অননুমোদিত নানা আইপি টিভি। এদের কোনো অনুমোদন নেই, এরা চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত। নীতিমালা অনুযায়ী আইপি টিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের নামে সংবাদ বুলেটিন বা অন্য কৌশল অবলম্বন করে সংবাদ প্রচার করা যায় না, তারপরও তারা এটি করছে। কারো পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করার নামে চাঁদা নেয়, বিপক্ষে করার জন্যও হুমকি দিয়ে চাঁদা নেয়। সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ দিয়ে টাকা নেয়, প্রতি মাসেও কথিত সাংবাদিকদের কাছে উল্টো টাকা দাবি করে। এগুলো সারাদেশে হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছি। এ ব্যাপারে অভিযান চলবে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রবিবার চট্টগ্রামে কয়েকটি আইপি টিভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের অফিসও সিলগালা করা হয়েছে। এ সময় আবার দেখা গেছে এসব অফিসে অবৈধ ও ভেজাল নানা খাদ্যসামগ্রী। বাজেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনকল্যাণেই উচ্চাভিলাষী বাজেট দেয়, বাস্তবায়নও করে। প্রতিবারই বাজেট পেশ ও পাস হওয়ার পর সিপিডি, বিএনপি, টিআইবিসহ কিছু সংগঠন নানা ধরনের বক্তব্য দেয়। অথচ গত ১৪ বছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯৭ শতাংশ। করোনা না থাকলে তা হতো ৯৮ শতাংশ।
তার মানে বাজেট ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার এখন ৪১ থেকে নেমে ১৮ শতাংশে এসেছে। মাথাপিছু আয় ৬শ ডলার থেকে ২৮শ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।