কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা জজ কোর্টের শিক্ষানবিশ আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ সোহেলকে ৪ বছর ধরে গ্রামের বাড়িতে যেতে দেন না তার আপন দুই ভাই। বাড়িতে ওঠার চেষ্টা করলে করা হয় মারধর। ওই দুই ভাই নির্যাতন করতে ছাড়েন না নিজের মাকেও। তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পান না অন্য ভাইয়েরাও। মামলা করেও নিস্তার মিলছে না তাদের কাছ থেকে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ঠাঁই পেতে ওই দুই ভাইয়ের বিচার দাবি করেছেন গোলাম মোহাম্মদ সোহেল।
গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সোহেল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার ধানীখোলা শিমুলীদা পাড়ায়। আমরা ৭ ভাই। ১ ভাই পুলিশের এসআই, ২ জন শিক্ষানবিশ আইনজীবী, একজন সাবেক ইউপি মেম্বার। এর মধ্যে সুমন মেম্বার ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী আশিকুর রহমান গত ৪ বছর ধরে আমাদের বাড়িতে যেতে দিচ্ছে না। গত দুই বছর আগে আমার মাকে জিম্মি করে আশিক টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিচ্ছে। মা আমাদের পক্ষে কথা বললেই মারধর করা হচ্ছে। তার ছোট ভাই তারেক রহমানকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় মামলা করেও কোনো সুরাহা পাইনি। বড় ভাই ইমরুল কায়েস বিপ্লবকেও পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে এবং হাতের আঙুল ভেঙে দেয় তারা। এ ঘটনারও কোনো বিচার পাইনি। গত ২০ জুন আমি বাড়িতে গেলে আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ঘটনায় গত ২১ জুন ত্রিশাল থানায় মামলা করি। তাদের বিরুদ্ধে পারিবারিক এসব মামলা ছাড়াও ৪-৫টি করে মামলা থাকলেও অজানা কারণে বহাল তবিয়তে আছেন। এমনকি আমার ভাই পুলিশের এসআই মিজানের চাকরির ক্ষতি করতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে ডিআইজি অফিসে। সোহেল আরো বলেন, আমরা পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। আমাদের এই বিপদ থেকে রেহাই পেতে সরকার ও প্রশাসনের মাধ্যমে সুবিচার প্রার্থনা করছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।