ইসলামী আন্দোলন : নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা ঘোষণা

আগের সংবাদ

কুরবানির পশুর দাম বেশি যে কারণে > আফতাবনগর হাট : এখনো জমেনি হাট গরুও উঠেছে কম

পরের সংবাদ

বরগুনায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সঞ্জীব দাস, বরগুনা থেকে : বরগুনায় ছড়িয়ে পড়েছে গবাদি পশুর (গরু) লাম্পি স্কিন রোগ। এ রোগে আক্রান্ত গরুর মুখমণ্ডল থেকে পা পর্যন্ত গোটা গোটা হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা ১০৪-১০৬ পর্যন্ত উঠে যায়। প্রাথমিক অবস্থায় রোগের ব্যাপারে খামারি বা গৃহস্থরা ধারণা করতে না পারায় নিরাময়ের উদ্যোগ নিতে পারেনি। আসন্ন ঈদুল আজহার আগে ব্যাপকভাবে লাম্পি স্কিন ছড়িয়ে পড়ায় গৃহস্থ ও খামারিদের চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। বরগুনার এমন কোনো বাড়ি বা খামার নেই যেখানে লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত গবাদিপশু নেই। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে গরুর বাছুর।
সদর উপজেলার উত্তর বড় লবণগোলা গ্রামের এক খামারের একটি গাভী ১২ দিন আক্রান্ত থেকে মারা যায়।
এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন খামারি। আক্রান্ত হওয়ার পর প্রাণিস¤পদ বিভাগ থেকে প্রচলিত গোটাপক্স ভ্যাক্সিন দেয়া হলেও প্রতিকার মেলেনি।
খামার মালিক নাসিরের স্ত্রী রুবী বলেন, গাভীটি মারা যাওয়ায় আমাদের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বর্তমানে একটি বাছুর আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছে। বরগুনা সদর ইউনিয়নের কলাতলা গ্রামের রফিক মোল্লা বলেন, তার একটি বাছুর সাত-আট দিন ধরে আক্রান্ত। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাক্সিনসহ ওষুধ দিয়েছে কিন্তু অগ্রগতি নেই।
কুরবানি সামনে। এ রোগের কারণে গৃহস্থ আর খামারিরা গরু বিক্রি করতে পারবেন না। কামরাবাদ গ্রামের খামারি আলম গাজী ও পুরাকাটা গ্রামের মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গরু নিয়ে মহাবিপদে পড়েছি। আল্লাহ জানেন কী হয়।’
বরগুনা জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, এটি ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগের প্রতিষেধক (ভ্যাক্সিন) আবিষ্কার হয়নি। আমরা গোটা পক্সের ভ্যাক্সিন দিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি খামারি আর গৃহস্থদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে গরু রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। জেলায় আক্রান্ত এবং মারা যাওয়া গবাদিপশুর সঠিক সংখ্যা নিরুপনের কাজ চলছে।
প্রতিটি খামার এবং বাড়িতে রাত দিন যাচ্ছেন ভ্যাটানারি সার্জনসহ কর্মীরা।
তালতলী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাদেকুর রহমান বলেন, আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গরু আমাদের কাছে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্তের চার-পাঁচ দিন পর নিয়ে আসা হচ্ছে। বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন ও তথ্য দিতে বাধ্য নন বলে মন্তব্য করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়