ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর পাকশী রেলস্টেশনের পাশ থেকে গত শনিবার সকালে ট্রেনে কাটা একজনের মরদেহ উদ্ধার করে রেল পুলিশ। উদ্ধারের পর তাৎক্ষণিকভাবে পাবনায় নিয়ে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে সেখানেই দাফন করা হয়। পরে জানা যায়, অজ্ঞাত হিসেবে যাকে দাফন করা হয়েছে তিনি ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের ও রূপপুর বিবিসি বাজারের পান ব্যবসায়ী মধু দোকানদারের ছেলে আজাদ (৪০)।
এলাকাবাসী জানান, আজাদের পাশের বাড়ির ব্যক্তির সঙ্গে বিরোধ থাকায় রাতে বাড়ি ফেরার সময় আজাদকে ধাওয়া করে কয়েকজন। এরপর থেকেই তিনি সারারাত নিখোঁজ ছিলেন। ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি পাবনায় মরদেহ দাফনের পর বিকালে জানতে পারে তার পরিবার।
আজাদের স্ত্রী শাহানাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির পাশের কয়েকজন ব্যক্তি আজাদকে মারতে বাড়িতে এসেছিল। তারা আজাদকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। সারারাত আজাদ বাড়িতে ফেরেনি, তার কাছে কোনো ফোন না থাকায় আমরা খোঁজ নিতে পারিনি। বিকালে মৃত্যুর খবর পাই।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। সে কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে রাতেই মেরে রেললাইনে ফেলে রেখেছিল। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। ঈশ্বরদীর গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) থানার ইনচার্জ মিহির রঞ্জন দেবনাথ বলেন, সকালে পাকশী রেলস্টেশনের পাশ থেকে দ্বিখণ্ডিত অজ্ঞাত মরদেহটি আমরা উদ্ধার করি। কোনো পরিচয় না পাওয়ায় পাবনায় ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে সেখানে দাফন করা হয়।
তিনি বলেন, মৃতের পরিচয় শনাক্ত করতে আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের ছাপ মেলানোর চেষ্টা করা হয়। তার আঙ্গুলের ছাপ কোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মেলেনি। পরিচয় জানা সম্ভব না হওয়ায় তাকে দাফন করা হয়। তিনি আরো বলেন, রবিবার সকালে মৃত আজাদ হোসেনের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তার মৃত্যু নিয়ে তাদের নানা অভিযোগের বিষয় শুনেছি। এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, পাকশীতে রেলে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি রেল পুলিশ বা অন্য কেউ জানায়নি। রাতে জেনেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।