ইসলামী আন্দোলন : নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা ঘোষণা

আগের সংবাদ

কুরবানির পশুর দাম বেশি যে কারণে > আফতাবনগর হাট : এখনো জমেনি হাট গরুও উঠেছে কম

পরের সংবাদ

অলস সময় পার করছে ফুলপুরের কামাররা

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আবু রায়হান, ফুলপুর (ময়মনসিংহ) থেকে : ময়মনসিংহের ফুলপুরে ঈদ সামনে রেখে কামার পাড়াগুলোতে নেই আগের মতো ব্যস্ততা। হারিয়েছে গেছে টুং টাং শব্দ। এক সময় ঈদকে সামনে রেখে কামারদের দম ফেলার ফুসরত থাকত না। কিন্তু আসন্ন কুরবানির ঈদে কাজ নেই বললেই চলে। আগে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কামারশালায় টুং টাং শব্দ লেগেই থাকত। কিন্তু এবার হারিয়েছে ময়মনসিংহের ফুলপুরের কামারদের সেই টুং টাং শব্দ। ঈদ ঘনিয়ে এলেও নেই ব্যস্ততার কোনো চিত্র।
উপজেলার পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগের মতো ব্যস্ততা নেই কামারদের। কয়েকটি কামারশালা খোলা থাকলেও নেই তেমন কাজের চাপ। ঈদকে ঘিরে নেই তাদের বাড়তি কোনো প্রস্তুতিও। অল্পস্বল্প কামারদের কাজ চললেও বিক্রি নেই বললেই চলে।
জানা যায়, প্রতিবছর ঈদুল আযহার সময় কুরবানির গবাদিপশুর গোশত কাটার জন্য প্রচুর দা, চাপাতি, কুড়াল ও ছুরি, চাকুর প্রয়োজন হয়। এসব তৈরি করতে কামাররা বছরের এই সময় খুবই ব্যস্ত থাকেন। অথচ এবার অজ্ঞাত কারণে কামার পাড়ায় বিক্রির কোনো প্রভাব নেই।
সরজমিন পৌর এলাকার সাহাপুর, আমুয়াকান্দাসহ ভাইকান্দি কামার পল্লীতে দেখা যায়, আগের মতো ব্যস্ততা নেই কামারদের। সব ব্যবসায়ীরা যেন ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে সময় পার করছে। ব্রিজ মোড়ের কামার মো. ছহুর উদ্দিন (৫৩) বলেন, কুরবানির আর বাকি আছে মাত্র কয়েকদিন। অথচ এবার ক্রেতার কোনো আনাগোনায় নেই। এবার ব্যবসার কি যে হবে বুঝা যাচ্ছে না।
কামার জাকারিয়া (২৫) বলেন, অন্যান্য বছর আগে থেকেই ক্রেতারা দোকানে ভিড় করত। এবার হয়ত ঈদের ১/২ দিন আগে কাজ হবে।
পৌর এলাকার সাহাপুর বাজারের কামার বরেন্দ্র মনি ঋষি (৭০) জানান, প্রায় ৫১ বছর যাবৎ এই পেশার সঙ্গে জড়িত আছি। এক সময় কামারপাড়ার বেশ কদর ছিল। সারা বছরই টুক-টাক কাজ থাকত। বর্তমানে আধুনিকতার ছুঁয়ায় এখন সবাই রেডিমেড যন্ত্রপাতি কিনে ফেলে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে কুরবানির ঈদে তেমন কোনো কাজ নেই। তারপরও লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়ে গেছে। দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতায় এমন কর্মহীন জীবন আগে কখনই দেখিনি।
কথা হয় ক্রেতা বাদল আলীর, মজিদুল, হারুনের সঙ্গে। তারা বলেন, ছুরি, বটি, দা প্রতি বছর আর কিনতে হয় না। এবার চামড়া ছড়ানোর জন্য কয়েকটা চাকু লাগবে তাই চাকু ক্রয় এবং পুরাতন যন্ত্রগুলো নতুন করে শাণ দিতে এসেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়