রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক আমদানি ব্যয় রেকর্ড ছাড়াবে

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক আমদানি ব্যয় চলতি বছর রেকর্ড সর্বোচ্চে উন্নীত হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। একদিকে ক্রমবর্ধমান চাহিদা অন্যদিকে খাদ্যপণ্যের বাড়তি দামকে এর পেছনে দায়ী করছে সংস্থাটি।
এফএও স¤প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক আমদানি ব্যয় ২০২২ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে। ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১ দশমিক ৯৮ ট্রিলিয়ন ডলারে।
আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তি দামের কারণে ২০২৩ সালে খাদ্যপণ্য আমদানি বাবদ বিশ্বজুড়ে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ১ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। সরবরাহ খাতে ব্যয় হবে অতিরিক্ত ১ হাজার ২৯০ কোটি ডলার। তবে জাতিসংঘের সংস্থাটি জানায়, গত বছরের তুলনায় এবার আমদানি ব্যয় বাড়ার গতি থাকবে কিছুটা ধীর। ২০২২ সালে আমদানি ব্যয় বেড়েছিল ১১ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ১৮ শতাংশ। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তি। মূলত ফল, সবজি, চিনি ও দুগ্ধপণ্য দাম বাড়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। বেশি দামের কারণে অর্থনৈতিকভাবে সংবেদনশীল দেশগুলোয় চাহিদা বৃদ্ধির হার কম। এ কারণেই গত বছরের তুলনায় আমদানি ব্যয় বাড়ার গতিও শ্লথ।
এফএওর প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় খাদ্যপণ্যের আমদানি ব্যয় ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমতে পারে। নিট আমদানিকারক উন্নয়নশীল দেশগুলোয় আমদানি ব্যয় ৪ দশমিক ৯ শতাংশ কমতে পারে। তবে অগ্রসর অর্থনীতির দেশগুলোয় খাদ্যপণ্যের আমদানি ব্যয় বাড়ছে লাফিয়ে। উভয় অর্থনীতির দেশগুলোয় আমদানি কমে যাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। বিষয়টি দেশগুলোর ক্রয়সক্ষমতা কমে যাওয়ার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক পণ্যেরই দাম কমেছে। এফএও সর্বশেষ খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক কমে দুই বছরের সর্বনি¤েœ নেমেছে। কিন্তু অনেক দেশের খুচরা বাজারে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। উল্টো ভোক্তাদের বেশি দামেই পণ্য কিনতে হচ্ছে। বিষয়টি আমদানিনির্ভর দেশগুলোর জন্য আরো বেশি ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এসব দেশের সাধারণ মানুষ জীবনযাপনের ব্যয় সামাল দিতে আরো বেশি চাপের মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে এফএও।
সা¤প্রতিক পূর্বাভাস বলছে, মৌলিক খাদ্যপণ্যের উৎপাদন, বাণিজ্যিক জোগান ও মজুতের হার বাড়তে পারে। চাল, দানাদার খাদ্যশস্য ও তেলবীজের উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে এফএও। দুধ, মাংস, চিনি ও মাছ উৎপাদন নিয়েও আশাবাদী বিশ্লেষকরা। তবে গম উৎপাদন কমতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়