রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

অর্থবছরের ১১ মাস : রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আহরণে পিছিয়ে থাকলেও এর আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) চেয়ে আদায় বেড়েছে ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। জানা গেছে- চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে ১১ মাস (জুলাই-মে) পেরিয়ে গেলেও প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির মুখে রাজস্ব আদায়ের একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি। লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯০ ভাগ অর্জিত হলেও ঘাটতি এড়াতে পারেনি এনবিআর।
গত অর্থবছরের ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সরকারের খাতায় রাজস্ব জমা হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৭৭৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। তবে অনেকটা কাকতালীয় হলেও দশ মাস (জুলাই-এপ্রিল) শেষেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে ছিল ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ সময় এগিয়ে গেলেও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পায়নি বলে জানা গেছে।
এনবিআরের পরিসংখ্যানে অনুযায়ী- লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চলতি অর্থবছরের বাকি এক মাসে অন্তত ৮৯ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে। যা অসম্ভব বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ২৮ হাজার কোটি রাজস্ব ঘাটতি হয়েছিল। এবার রাজস্ব ঘাটতির সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে- আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ১৬ হাজার ৭৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। একই সময়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটে ঘাটতি হয়েছে ১৩ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। আর আয়কর খাতে ঘাটতির পরিমাণ ৩ হাজার ৬৬৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
এনবিআরের প্রাথমিক হিসাবে অনুসারে, আমদানি খাতে মে পর্যন্ত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৬৪ কোটি টাকা। আর রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৩ হাজার ৬৮৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে মে পর্যন্ত ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৮৪১ কোটি ২ লাখ টাকা। যার বিপরীতে ভ্যাট আদায় হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা।
এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের ওই সময়ে আয়কর ও ভ্রমণ কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২ হাজার ৬২৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৮৮ লাখ ৯৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে- সরকার অর্থবছরের শুরু থেকেই আমদানিকে নিরুৎসাহিত করেছে। এলসি খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি এসেছে, সেটেলমেন্টও কমেছে। ফলে আমদানি ঋণাত্মক হয়ে যাওয়ায় শুল্ক আদায়ও কমে গেছে। তবে প্রত্যাশা ছিল ভ্যাট ও আয়কর থেকে বেশি রাজস্ব আদায় হবে। সেটা হয়নি। যদিও অর্থবছর শেষে এতো ঘাটতি থাকবে না।
এদিকে আগামী বছর আরো কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কারণ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ আরো বড় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে।
চলতি অর্থবছরে (জুলাই-জুন) এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ১১ হাজার কোটি, মূসক আদায়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ও আয়কর খাতে ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়