প্রিপেইড মিটার স্থাপনে আর্থিক লেনদেন না করার আহ্বান

আগের সংবাদ

হাটে পর্যাপ্ত গরু, দাম চড়া : কেনাবেচা আজ থেকে > শর্ত মানছেন না ইজারাদার > ট্রাক নিয়ে টানাটানি

পরের সংবাদ

র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার তুহিন রেজা : যাবজ্জীবন দণ্ডিত পলাতক জঙ্গি টিভি স্টেশনকর্মী!

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক জেএমবি সদস্য তুহিন রেজাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ জানতেন তুহিন রেজা। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে একটি বেসরকারি টিভি স্টেশনে কাজ করে যাচ্ছিলেন ভয়ঙ্কর এই জঙ্গি।
তুহিন রেজাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানাতে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা। এতে র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, জেএমবি গত ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশের ৬৩টি জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার পাশাপাশি রাজধানীর ৩৪টি স্পটসহ মোট ৪৫০টি স্পটে প্রায় ৫০০ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ওইদিনই ঝিনাইদহ জেলার ডিসি অফিস, জজ কোর্ট ও পায়রা বন্দরসহ কয়েকটি এলাকাতেও বোমা হামলা ঘটানো হয়।
তিনি আরো বলেন, বোমা হামলার ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা হলে তদন্ত শেষে মোট ২১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৫ সালের ২০ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে অভিযোগের সত্যতা মেলায় ২১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। আসামিরা মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করলে ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৪ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়াও ৭ আসামি খালাস পান। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া সেই ১৪ জনের মধ্যে ১০ নম্বর আসামিই হলেন তুহিন রেজা। গত বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তারে সমর্থ হই আমরা।
গ্রেপ্তারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব-৩ এর সিও জানান, জঙ্গি তুহিন ১৭ আগস্ট বোমা হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে এসে ঝিনাইদহ সদরে জঙ্গি ক্যাম্পে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকেন।
মামলার পর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। প্রথমে যাত্রাবাড়ী পরবর্তীতে খিলগাঁও, উত্তরা, মহাখালীসহ বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে বসবাস করতে থাকেন। গ্রেপ্তার এড়াতে প্রায়ই বাসা বদল করতেন তিনি। সর্বশেষ তেজগাঁও এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
র‌্যাব-৩ সিও বলেন, তুহিন রেজা ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ জানতেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে সেই যোগ্যতাটাই কাজে লাগান। পলাতক অবস্থায় বেসরকারি একটি টিভি স্টেশনে ভিডিও এডিটিংসহ বিভিন্ন সফট্ওয়্যার ভিত্তিক কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন তিনি। হয়তো ধারণা করেছিলেন- টিভি স্টেশনে চাকরি করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে পড়বেন না। এক প্রশ্নের জবাবে লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ঝিনাইদহের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া ১৪ জনের মধ্যে আগেই ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তুহিন রেজাকে নিয়ে এখন ১৩ জন গ্রেপ্তার হলো। পলাতক বাকি একজনকেও আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি আমরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়