প্রিপেইড মিটার স্থাপনে আর্থিক লেনদেন না করার আহ্বান

আগের সংবাদ

হাটে পর্যাপ্ত গরু, দাম চড়া : কেনাবেচা আজ থেকে > শর্ত মানছেন না ইজারাদার > ট্রাক নিয়ে টানাটানি

পরের সংবাদ

নিরাপত্তাহীনতায় দেশ ছাড়ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিরাপত্তাহীনতা এবং ন্যায়বিচার না পাওয়ার কারণে হিন্দুরা দেশ ছাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তার অভিযোগ, প্রশাসন তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে না। আদালতেও পাত্তা পাওয়া যায় না। গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
গয়েশ্বর বলেন, ৬০ এর দশকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে হিন্দু স¤প্রদায় ছিল ৩৭ শতাংশ, এখন তা ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা তাদের যে নাগরিক অধিকার সংবিধানে আছে, সেটা থেকে বঞ্চিত। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অভিযোগগুলো খুব একটা গুরুত্ব দেয় না এবং এড়িয়ে চলে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের লোকরা আদালত বলেন আর প্রশাসন বলেন কোথাও কিন্তু তারা গুরুত্ব পায় না।
বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের বক্তব্য শুধু যথার্থই নয়, বাস্তবে নির্যাতনের মাত্রা আরো ভয়াবহ শিরোনামে এই সংবাদ সম্মেলন করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংগঠনটি। এতে সবার আগে বক্তব্য দিয়ে চলে যান গয়েশ্বর, যিনি এই সংগঠনটির উপদেষ্টা। গয়েশ্বর বক্তব্য দিয়ে যাওয়ার পর লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার বলেন, স¤প্রতি বাংলাদেশে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, নির্বাচন ও সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের উপর নির্যাতন প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বরাবর ছয়জন কংগ্রেসম্যান একটি চিঠি দিয়েছে। যাতে বর্তমান সরকারের অস্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করা, ব্যাপকহারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীন ও তাদের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্যাতনে বিষয় উপস্থাপন হয়েছে।
ওই চিঠি দেয়ার জন্য মার্কিন কংগ্রেসম্যানকে সাধুবাদ জানিয়ে বিজন বলেন, গত ১৫ বছরে সংখ্যালঘুদের ‘নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি’ আরো অনেক বেশি। এ সময় ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধদের ওপর হামলা, মন্দির ভাংচুর, যশোরের অভয়নগরে শতশত বাড়ি, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হামলা ও লুটপাট, ২০১৬ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগরে, ২০১৭ সালে রংপুরের গঙ্গাচড়ায়, ২০২১ সালে কুমিল্লায়, একই বছরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, সুনামগঞ্জের শাল্লাসহ বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাও তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়