প্রিপেইড মিটার স্থাপনে আর্থিক লেনদেন না করার আহ্বান

আগের সংবাদ

হাটে পর্যাপ্ত গরু, দাম চড়া : কেনাবেচা আজ থেকে > শর্ত মানছেন না ইজারাদার > ট্রাক নিয়ে টানাটানি

পরের সংবাদ

দেশির ঝাঁজ কমছেই না : নিম্নমানের ভারতীয় পেঁয়াজে ক্রেতাদের অস্বস্তি

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২৩ , ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রোজার ঈদের পর থেকেই হঠাৎ বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। তখন বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ না থাকায় দেশির দাম উঠেছিল প্রতি কেজি ১০০ টাকার ওপরে। এই প্রেক্ষাপটে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। বর্তমানে পাইকারি বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ১৮০ টাকা, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। যদিও ক্রেতারা অভিযোগ তুলছেন, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ খুবই নি¤œমানের এবং বেশির ভাগই দুর্গন্ধযুক্ত। তাই দাম বেশি হলেও দেশি পেঁয়াজের প্রতি এসব ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি।
আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজের বাড়তি দাম রাখছেন। ফলে আমদানির পরও বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম খুব একটা কমেনি। খুচরায় ভালো মানের প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বর্তমানে কারওয়ান বাজারের মতো পাইকারি বাজারে রাজশাহীর তাহেরপুর থেকে আসা ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৩৮০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি পাইকারিতেই দাম পড়ে ৭৬ টাকা। রাজশাহীর এ দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। গতকাল শুক্রবার সরজমিনে রাজধানীর পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত কারওয়ান বাজারের সঙ্গে খিলগাঁও, বনশ্রী ও গোড়ান এলাকাসহ বেশকিছু এলাকার খুচরা বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পেঁয়াজের দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। এ পেঁয়াজটাই পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকায়। আর রাজশাহীর তাহেরপুর থেকে আসা ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, যা পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৬ টাকায়। ফরিদপুর ও পাবনা থেকে আসা দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকায়। যার আকার কিছুটা বড় রাজশাহীর পেঁয়াজের তুলনায়। তবে বাজারে বর্তমানে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ আসছে রাজশাহীর তাহেরপুর থেকে এমনটাই জানিয়েছেন বেশির ভাগ পাইকারি বিক্রেতারা।
যদিও দেশি পেঁয়াজের তুলনায় বাজারে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কম। কিন্তু দাম কম হলেও এ আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
দক্ষিণ বনশ্রীর মুদি দোকানি মো. মাসুদ বলেন, আমি গত সপ্তাহে এক বস্তা ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ এনেছি, কিন্তু এখনো বিক্রি করে শেষ করতে পারিনি। পেঁয়াজের মান এতটা ভালো না। বুঝতে পারিনি এভাবে ধরা খাব। আর দেশি পেঁয়াজ আনিনি কারণ দাম বেশি। দেশির দাম শুনলে কাস্টমার নানা কথা কয়, তাই দেশি পেঁয়াজ আনি না। তবে ভালো মানের ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বাজারে আসাতে দেশি পেঁয়াজের দামে সিন্ডিকেট করতে পারবে না। মানুষ বেশি কিনছে দেখে দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি।
কারওয়ান বাজার থেকে ৩৮০ টাকায় ভালো মানের ৫ কেজি দেশি পেঁয়াজ কেনেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. এনামুল হক। তিনি বলেন, আমদানি করার পরও বাজারে পেঁয়াজের দাম এতটা কমেনি। যে পরিমাণ কমার কথা ছিল তার থেকে এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ৭০ টাকা করে কিনেছি, তা এ সপ্তাহে ৭৬ টাকা করে পাইকারি বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে। বর্তমান বাজারের অবস্থা খুব বেশি ভালো না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়