প্রিপেইড মিটার স্থাপনে আর্থিক লেনদেন না করার আহ্বান

আগের সংবাদ

হাটে পর্যাপ্ত গরু, দাম চড়া : কেনাবেচা আজ থেকে > শর্ত মানছেন না ইজারাদার > ট্রাক নিয়ে টানাটানি

পরের সংবাদ

ঝাল বেড়েছে কাঁচা মরিচের মাছ-সবজিতে অস্বস্তি

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ফের বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। আর মাছের দাম তো আগে থেকেই চড়া। সব মিলিয়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাছ, সবজি সবই বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে হঠাৎ কাঁচা মরিচের দামে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানের কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। এতে বাজারে এসে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গত তিন চারদিনে সবজির দাম আরেক দফা বেড়েছে। পাইকারি বাজারেই সবকিছুর দাম বেশি, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঝিঙা ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি মানভেদে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুঁড়ি কচু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, দেশি আলু (লাল) প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা এবং লাল লেয়ার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া বাজারে কয়েক মাস ধরে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙাশ মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট গুড়া মাছ (কাচকি) প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্ভ (ছোট) প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মালিবাগ বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আজগর হোসেন বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। কোনো সবজির দাম জিজ্ঞেস করলেই অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। এত দাম দিয়ে সবজি কেনা সম্ভব? গত সপ্তাহে কিছুটা কম থাকলেও আজ (গতকাল) বাজারে এসে দেখছি দাম বেড়ে গেছে। দাম বাড়ায় এক কেজির জায়গায় আধাকেজি কিনতে হচ্ছে। শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে আসা গার্মেন্টসকর্মী হাসিনা আক্তার বলেন, বাড়তির দামের কারণে ভালো কোনো মাছ আমাদের মতো নি¤œআয়ের লোকজনরা কিনতে পারছে না। পাঙাশ, তেলাপিয়া, চাষের কই সাধারণত বেশি কেনা হয়। বর্তমানে বাজারে এগুলোর দামও বেড়ে গেছে। বাজারে মাছের দাম বেশি কেন- জানতে চাইলে সেগুনবাগিচা বাজারের মাছ বিক্রেতা নাছির উদ্দিন বলেন, প্রতিটি আড়ত, পাইকারি বাজারেই মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। আমাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। যার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর শুক্রবারে এমনিতেই মাছের চাহিদা বেশি থাকে, সে কারণেও দাম বাড়ে। কারওয়ান বাজার থেকে পাইকারি দরে সবজি কিনে এনে খুচরা বাজারে বিক্রি করেন শরাফ উদ্দিন।
তিনি বলেন, গত ৩/৪ দিন ধরে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। এর মূল কারণ হলো অনেক সবজির মৌসুম শেষ, নতুন করে সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত এমন বাড়তি দাম থাকতে পারে। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে এখন সবজির ট্রাক কম আসছে, সব ট্রাক, পিকআপে এখন কুরবানির গরু আনা নেয়া নিয়ে ব্যস্ত। তাই সবজির বাজার এটা ঈদের পর পর্যন্ত বাড়তি থাকতে পারে। কাঁচা মরিচের বাড়তির বিষয়ে এই বিক্রেতা বলেন, সবজি যে কারণে দাম বাড়ছে, একই কারণে কাঁচা মরিচের দামও বাড়তি যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়