প্রিপেইড মিটার স্থাপনে আর্থিক লেনদেন না করার আহ্বান

আগের সংবাদ

হাটে পর্যাপ্ত গরু, দাম চড়া : কেনাবেচা আজ থেকে > শর্ত মানছেন না ইজারাদার > ট্রাক নিয়ে টানাটানি

পরের সংবাদ

ঈদকে ঘিরে চট্টগ্রামে বাড়ছে মসলার দাম

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাড়ছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম। আগেই বেড়ে যাওয়া জিরা, লবঙ্গের পাশাপাশি নতুন করে বেড়েছে আদা, রসুন, শুকনো মরিচ, হলুদ, দারুচিনির দাম। এদিকে ঈদে বিরিয়ানি, পোলাওসহ রান্নার নানা পদে ব্যবহৃত চিনিগুড়া চালের দামও বেড়ে গেছে। এক মাসের ব্যবধানে পাইকারিতে বস্তাপ্রতি এ চালের দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।
গতকাল শুক্রবার নগরীর পাহাড়তলী পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হয় ৬ হাজার ৬শ টাকায়। একমাস আগেও এর দাম ছিল ৬ হাজার ২শ থেকে ৬ হাজার ৩শ টাকা। এদিকে খুচরা বাজারে একমাস আগেও প্রতি কেজি খোলা চিনিগুঁড়া চাল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। প্যাকেটজাত চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৬০ টাকায়। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নেজাম উদ্দীন বলেন, নতুন ধান আসলেও চালের দাম কমেনি। সব চালের দামই আগের মতই চড়া। চিনিগুঁড়া চাল বড় কোম্পানিগুলো প্যাকেটজাত করতে মজুদ করে। ফলে এ চালের সরবরাহ কম ও দামটা বাড়তি।
এদিকে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে মরিচের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা, দারুচিনি ১২০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকা ও চায়না আদার দাম ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগেই জিরার দাম কেজিতে বাড়ে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা এবং লবঙ্গের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ে প্রতি কেজিতে। দারুচিনি, তেজপাতা ও ধনিয়ার দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পর চাকতাই-খাতুনগঞ্জে মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫০ টাকা। নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ৪ জুন পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩৫ টাকায়। বর্তমানে খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, শুক্রবার খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা পর্যন্ত। পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহনের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম এর থেকে আর কমানো যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। শুক্রবার বাজারে স্থানভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকায় বিক্রি হয়। সোনালী মুরগি আগের ২৮০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজারে প্রতি কেজি কাকরোল ৬০ থেকে ৭০, আলু ৩৫ থেকে ৪০, বেগুন ৬০, পটল ৬০, কাঁচা মরিচে ২০ টাকা বেড়ে ১শ, ঝিঙ্গে ও করলা ৬০ ও শসা ৪০ টাকায় বিক্রি হয়। মাছের বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ ৩৫০, কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০, মাগুর ৪০০, কই ৪৫০ থেকে ৫০০, শিং ৬০০, টেংরা ৫৫০ ও পাঙ্গাস ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এদিকে প্রতি ডজন লাল ডিমে ১০ টাকা বেড়ে ১৪০, চিনির কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৪০, কেজিপ্রতি খোলা ময়দা ৬৫, প্যাকেট ময়দা ৭৫, খোলা আটা ৫৫ ও প্যাকেট আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়