পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ : ২ ধর্ষককে পুলিশে দিল মা-বাবা

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে গৃহবধূ (১৮) গণধর্ষণ ঘটনার ৬ দিন পর ২ ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন মা-বাবা।
গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভীবাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। গত রবিবার এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে ভুক্তভোগীর স্বামী মামলা দায়ের করেন। এর আগে বুধবার ১৪ জুন বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পর্যটন এলাকা মুছাপুর স্লুইচ গেটের পূর্ব পাশের বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো- উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একরামুল হকের ছেলে রিয়াদ (৩০) ও মুছাপুর ক্লোজারের রেগুলেটর মোড়ের আলা উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৮)। তবে এ মামলার প্রধান আসামি মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নুর নবীর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৫) পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ১৪ জুন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূ (১৮) তার স্বামীর সঙ্গে নোয়াখালী সদর উপজেলা থেকে মোটরসাইকেলযোগে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর স্লুইচ গেইট এলাকায় ঘুরতে আসেন। সুইচ গেইট পার হয়ে পূর্বদিকে বাগানের পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় আসামি জাহাঙ্গীর, রিয়াদ ও জালাল উদ্দিন হাতে ছুরি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে তিন জন স্বামীকে গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে স্ত্রীকে বাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করে। অপর আসামি জালাল উদ্দিন তখন ভিকটিমের স্বামীকে পাহারা দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার ছত্রছায়ায় মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় স্থানীয় জলদস্যু বাহিনী বালু উত্তোলন, খাস জায়গা দখল ও ঘুরতে যাওয়া নারীদের ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতায় এগুলো কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। এর আগেও একাধিক নারী মুছাপুর ক্লোজারে ধর্ষণের শিকার হয় বলে জানা যায়। তবে মান সম্মানের ভয়ে কেউ এসব ঘটনায় মুখ খুলতে চায় না। মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, দুই ধর্ষককে তাদের পরিবারের সদস্যরা আটক করে। এরপর পরিবারের খবরের ভিত্তিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিমের উপস্থিতিতে আসামিদের পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাদেকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই আসামিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়