পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী : সুনীল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সরকার বদ্ধপরিকর

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সমুদ্র অর্থনীতিবিষয়ক দূরদর্শিতার ফলে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাংলাদেশের একচ্ছত্র সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হয়েছে। সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে আমরা সুবিশাল এক অর্থনৈতিক এলাকা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সুনীল অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে যেসব বহুমুখী উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তার অবারিত সুফল ভোগ করবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, জাতীয় হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম নাজমুল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে ‘হাইড্রোগ্রাফি আন্ডারপিনিং দ্য ডিজিটাল টুইন অব দ্য ওশেন’। সেমিনার বলা হয়, সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সমুদ্রকে নিরাপদ ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে দেশের সমুদ্র ব্যবহারকারী সব সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেমিনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের মেরিটাইম সেক্টরের অংশীজন এবং নীতি নির্ধারকদের মধ্যে সমন্বয় আরো সুদৃঢ় হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এ দেশকে স্বনির্ভর ও উন্নত করে তুলতে হাইড্রোগ্রাফি, সমুদ্রবিজ্ঞান এবং সুনীল অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাত এবং জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিআইডব্লিউটিএ, চট্টগ্রাম, মোংলা এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত হাইড্রোগ্রাফিক পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি অভিনন্দন জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভিস ক্রমান্বয়ে একটি বিশ্বমানের পেশাদার সংস্থায় পরিণত হয়েছে। দেশের শতভাগ সমুদ্রসীমার জরিপকার্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে এবং প্রতি বছর নিরাপদ নেভিগেশনের স্বার্থে তা হালনাগাদ করা হচ্ছে। দেশের সমুদ্র এলাকায় হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ পরিচালনা ও এ সংক্রান্ত সেবাদানের মাধ্যমে নিরাপদ নেভিগেশন ও সামুদ্রিক অর্থনীতির বিকাশে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ভবিষ্যতে আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। সুনীল অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের শাসনামলে পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর ও আল্টা ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্লান্ট, এলএনজি টার্মিনাল, অফশোর রিনিউয়েবল এনার্জি প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু টানেল, সমুদ্র তলদেশের তেল ও গ্যাস সাপ্লাই পাইপলাইন, বে টার্মিনাল ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং কারিগরি বিষয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হাইড্রোগ্রাফিক কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার আধুনিক হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ জাহাজ এবং স্মার্ট সরঞ্জাম সংযোজন করে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়