পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

টাইটানিক দেখতে গিয়ে ডুবোযান নিখোঁজ : ‘শব্দ শুনেছেন’ উদ্ধারকর্মীরা

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুব দিয়ে নিখোঁজ পর্যটকবাহী ডুবোযান টাইটানের খোঁজে তল্লাশিরত কানাডার একটি আকাশযান পানির নিচে ‘শব্দ’ শনাক্ত করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে।
বুধবার ভোররাতে ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে তারা জানায়, মঙ্গলবারের এ অগ্রগতি অনুসন্ধানকারী দলকে তাদের পানির নিচের রবোটিক (আরওভি) তল্লাশি অভিযানের এলাকা নতুনভাবে নির্ধারণ করে ‘ওই শব্দের উৎস বের করার উদ্যোগ নিতে’ সহায়তা করবে। আরওভির (দূর থেকে চালিত যান) মাধ্যমে নতুন করে নির্ধারিত এলাকাগুলোতে যে তল্লাশি চালানো হয়েছে এখন পর্যন্ত সেগুলো নিস্ফল হলেও অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্ট গার্ড।
কানাডার একটি পি-৩ আকাশযান টাইটানের খোঁজে একটি অনুসন্ধান এলাকায় পানির নিচের ওই ‘শব্দ’ শনাক্ত করেছে বলে কোস্ট গার্ড নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরীণ মেমো উদ্ধৃত করে সেটি ‘আঘাতের মতো শব্দ’ বলে জানিয়েছে। কিন্তু এই শব্দ কতক্ষণ স্থায়ী ছিল তা পরিষ্কার হয়নি এবং কোস্ট গার্ডও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। সিএনএন ও রোলিং স্টোন সাময়িকী পৃথকভাবে জানিয়েছে, কানাডীয় বিমানটি তল্লাশি এলাকায় ৩০ মিনিটের ব্যবধানে শব্দগুলো শনাক্ত করেছে। টাইটান নামের ওই টুরিস্ট সাবমেরিন পাঁচজন আরোহী নিয়ে গত রবিবার কানাডার উপকূলীয় আটলান্টিক মহাসাগরে ডুব দেয়ার পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় এর সঙ্গে পানির উপরে থাকা জাহাজ পোলার প্রিন্সের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ডুবোযানটিতে থাকা বাতাসের সরবরাহ দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ১০.০০ জিএমটি পর্যন্ত চলা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর আরোহীদের নিঃশ্বাস নেয়ার মতো অক্সিজেন যানটিতে থাকবে না।

১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের নিউ সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রথম যাত্রায় বিশাল আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল তখনকার সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিক, প্রাণ গিয়েছিল দেড় হাজার মানুষের।
টাইটানের খোঁজে আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় ২০০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলা তল্লাশি অভিযানটি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের বোস্টন শহর থেকে পরিচালিত হচ্ছে। জটিল এই অভিযানে কানাডার নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও নিউইয়র্কের এয়ার গার্ড অংশ নিলেও এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড।
এই অভিযানে ফ্রান্সের একটি গবেষণা জাহাজও যোগ দিয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়