পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

ঋণ শোধ করেও কারাগারে বৃদ্ধ : ব্র্যাকের বিপিডি কর্মসূচিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এনজিও প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের বিপিডি প্রগতি কর্মসূচি থেকে ১০ বছর আগে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ৮৪ বছর বয়সি সাইজুদ্দিন। ঋণের সব টাকা পরিশোধের পরও ওই সংস্থার করা মামলায় তাকে যেতে হয়েছে কারাগারে। বৃদ্ধকে অমানবিক হয়রানি করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে সাইজুদ্দিনকে এই টাকা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিভিশন মামলা শুনানি শেষে গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ সময় সাইজুদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঋণের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পরও ব্র্যাকের বিপিডি প্রগতি কর্মসূচি মামলা প্রত্যাহারে গাফিলতির কারণে সাজাপ্রাপ্ত হন সাইজুদ্দিন। প্রায় ৪০ দিন জেল খাটেন তিনি। বৃদ্ধকে অমানবিক হয়রানি করার জন্য বিপিডি প্রগতি কর্মসূচিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এই টাকা বৃদ্ধকে তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ব্র্যাকের বিপিডি প্রগতি কর্মসূচির গাজীপুরের কাপাসিয়া শাখা থেকে ২০১২ সালে ২৪ জানুয়ারি দেড় লাখ টাকা ঋণ নেয় সাইজুদ্দিন। জামানত হিসেবে দিয়েছিলেন ব্ল্যাঙ্ক (খালি) চেক। নিয়মিত কিস্তিতে ৭৫ শতাংশের বেশি টাকা পরিশোধও করেন তিনি। অল্পকিছু টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে জামানত দেয়া খালি চেকে এক লাখ ২৬ হাজার ৭১৫ টাকা লিখে বৃদ্ধের ব্যাংক হিসাবে জমা দেয় ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানটি। চেকটি ডিজঅনার হলে ২০১৩ সালের ৯ জুন সাইজুদ্দিনকে আসামি করে মামলা করে প্রতিষ্ঠান। এই মামলায় তিনি নি¤œ আদালত থেকে জামিন নেন। পরে তিনি ঋণের অবশিষ্ট পাওনা পরিশোধ করেন। ঋণের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে মর্মে বৃদ্ধকে একটি প্রত্যয়নপত্র দেয় প্রতিষ্ঠানটি। সেইসঙ্গে মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রæতিও দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু মামলাটি প্রত্যাহার না করায় গাজীপুরের যুগ্ম দায়রা জজ আদালত আসামি সাইজুদ্দিনকে ১ বছরের কারাদণ্ড এবং চেকের দ্বিগুণ অর্থ ২,৫৩,৪৩০ টাকা অর্থদণ্ড দেন। বিষয়টি সাইজুদ্দিন জানতেন না। সাজা পরোয়ানা মূলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নি¤œ আদালতে চেকের টাকার অর্ধেক জমা দিয়ে আপিল করেন। দেরি হওয়ায় আপিল গ্রহণ করেনি নি¤œ আদালত। পরে ২০১৫ সালে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন মামলা দায়ের করেন বৃদ্ধ। ওই বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে তিনি জামিনে রয়েছেন। গতকাল ওই মামলার শুনানি শেষ হয়। বর্তমানে তার বয়স ৯৪ বছর চলছে। শুনানি শেষে সাইজুদ্দিনকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে। আপিল করার সময় জমা করা টাকা ১০ দিনের মধ্যে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়