পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

আটলান্টিকের বুকে হাজার বছরের পুরনো দুর্গ

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চারপাশে নীল জলরাশি। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে উঁচু দেয়ালে। খালি চোখে দেখলেই বোঝা যায় কতটা শক্তিশালী সে দেয়াল। প্রাচীনকালে শত্রæর আক্রমণ থেকে বাঁচতে এ ধরনের পুরু দেয়াল দিয়ে দুর্গ নির্মাণ করা হতো। দেয়ালের ভেতর দিকে প্রথমে ছোট ছোট ঘর। এরপর মাঝখানে সুউচ্চ মঠ। হাজার বছর আগে নির্মিত মন্ট সেন্ট-মিশেল নামের আশ্রমটি সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে। এটি ফ্রান্সের স্থায়িত্বেরও প্রতীক।
নরম্যান্ডি উপকূলের ছোট্ট এ দ্বীপের মূল আকর্ষণ পাহাড়ের ওপরের আশ্রমটি। নামে মঠ হলেও চেহারা আর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিক থেকে এটি দুর্গের মতো। এটি শত শত বছর ধরে ফরাসি ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। পাহাড়ের ওপরের দিকের দালানগুলোর বেশিরভাগই ১৩ শতকে গথিক নির্মাণশৈলীতে বানানো। নিচের দিকে ছোট ছোট বাড়িঘর আর দোকানপাট। আশ্রমের সন্ন্যাসীসহ সব মিলিয়ে সেখানে ৫০ জনেরও কম মানুষের বাস।
অতীতে দেশটির সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দ্বীপটি মূল ভূখণ্ডের অংশ ছিল। কয়েকশ বছর আগে সমুদ্রের জোয়ারের ধাক্কায় চারপাশ বিলীন হয়ে ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে আটলান্টিকের বুকে আবির্ভাব ঘটে ক্ষুদ্র এই দ্বীপের।
মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দ্বীপটির প্রথম যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয় ঊনিশ শতকের শেষ দিকে। ১৮৭৯ সালে দ্বীপটির সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনে কাঠের একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। যদিও জোয়ারের সময় সেই সেতু ডুবে যেত। ২০১৪ সালে সেখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে জোয়ারের সময়ও খুব সহজেই দ্বীপটিতে আসা-যাওয়া করা যায়। তবে অতি প্রবল জোয়ারের (সুপারটাইড) সময় নতুন সেতুটিও পানির নিচে তলিয়ে যায়। প্রতি ১৮ বছর পর পর দেখা মেলে সুপারটাইড নামে ভয়ংকর এই জোয়ারের। সর্বশেষ ২০১৫ সালে দেখা গিয়েছিল এই জোয়ার। মূলত সূর্যগ্রহণের কারণে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যকার মিলিত মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলেই সুপারটাইডের সৃষ্টি হয়। এই জোয়ারের উচ্চতা দাঁড়ায় ৪৬ ফুট, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি। চারতলা ভবনের সমান এ জোয়ারকে প্রলয়ঙ্কর মনে হলেও অনেক ভ্রমণপিপাসুর কাছে সেটি এক স্বর্গীয় অনুভূতি।
১৭ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ক্ষুদ্র এই দ্বীপটিকে ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত দেয়। পশ্চিমা বিশ্বের আশ্চর্য নামে পরিচিত আশ্রমটি ৭০৯ সালে একটি উপকূলীয় পাহাড়ের ওপর নির্মিত হয়েছিল। ১১ থেকে ১৬ শতকের মধ্যে বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি পবিত্র স্থান হয়ে ওঠে। এটি ফ্রান্সের বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষীও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়