ঠিকানা নিয়ে ৩২ বার তদন্তে উষ্মা হাইকোর্টের

আগের সংবাদ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ দিয়ে ক্ষমতায় বসবে না আ.লীগ > সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : অন্য দেশের সঙ্গেও অর্থ বিনিময়ের সুযোগে ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর : সাবেক পরিচালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট, মেডিকেল টেকনিশিয়ান ও কার্ডিওগ্রাফারসহ আড়াই হাজার পদের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে নিয়োগ কমিটির সভাপতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক মো. ফারুক হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শফিউল্লাহ।
মামলায় আসামিরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) মো. হাসান ইমাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক (প্রশাসন) ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব আ ফ ম আখতার হোসেন, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মো. শাওকত আলী। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭(ক) ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে জরুরিভিত্তিতে বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য মেডিকেল টেকনোলজিস্টের এক হাজার ২০০টি, মেডিকেল টেকনিশিয়ানের এক হাজার ৬৫০টি এবং কার্ডিওগ্রাফারসহ দুই হাজার ৭৯৮টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের ছাড়পত্র দেয়া সরকার। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মোট ৭২ হাজার ৬১৫ প্রার্থী আবেদন করেন। ঘুষ লেনদেনসহ নানা বিতর্কে নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রথমে স্থগিত এবং পরে বাতিল করা হয়। এরপর ঘুষ লেনদেনের ওই সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচনে মাঠে নামে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় উচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর সরবরাহ করা উত্তরপত্র বিকল্প উত্তরপত্র দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে বলে অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। নিয়োগ কমিটির সভাপতি মো. হাসান ইমাম লিথোকোড ফরমের ছেঁড়া অংশ ও সদস্য সচিব আ ফ ম আখতার হোসেন গোপনীয়ভাবে খাতা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। আর খিলগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষক মো. শাওকত আলী খাতাগুলো নিয়োগ পরীক্ষার দিন সদস্য সচিব আ ফ ম আখতার হোসেনের কাছ থেকে বুঝে নেন।
এরপর পরস্পর যোগসাজসে পরীক্ষার পরবর্তী রাত বা দিনে বিকল্প খাতায় নতুন করে প্রশ্নের উত্তর লিখে তা অফিসিয়ালি সরবরাহ করা খাতায় প্রতিস্থাপন করেন তারা। দুদকের অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত বিভিন্ন অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ১৫-২০ লাখ টাকা নেয়ার তথ্য মিলেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়