ঠিকানা নিয়ে ৩২ বার তদন্তে উষ্মা হাইকোর্টের

আগের সংবাদ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ দিয়ে ক্ষমতায় বসবে না আ.লীগ > সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : অন্য দেশের সঙ্গেও অর্থ বিনিময়ের সুযোগে ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

রাণা দাশগুপ্ত : রাজনীতি ও প্রশাসন সাম্প্রদায়িকতায় আচ্ছাদিত

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারি দল ও প্রশাসন সা¤প্রদায়িক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলসহ রাজনীতি, সমাজ ও প্রশাসনে সা¤প্রদায়িকতার শেষ নেই। সংবিধানও সা¤প্রদায়িকতায় আচ্ছাদিত। তাই সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য চিৎকার করতে হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেট বৈষম্য নিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত। সংগঠনের সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় প্রমুখ।
জাতীয় বাজেটের কলেবর বাড়লেও ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে বরাদ্দ না বাড়ায় পরিষদের পক্ষ থেকে এবারের বাজেট প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ব্যয় বরাদ্দ এবং উন্নয়ন খাতে মোট বরাদ্দ রয়েছে ২১৭৬ দশমিক ১৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ মাত্র ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। যেখানে বৈষম্যের চিত্র ফুটে উঠে।
সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, উন্নয়ন ও কল্যাণে জাতীয় বাজেটে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দসহ সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের পাশাপাশি ৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও কল্যাণে জাতীয় রাজস্ব বাজেট থেকে বার্ষিক বরাদ্দ দিয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টসমূহকে ‘ফাউন্ডেশন’-এ রূপান্তরিত করা।
ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্যে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের সঠিক শুমারির উদ্যোগ নেয়া। ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতির উন্নয়নে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া।

বিগত পাঁচ দশক ধরে বাজেটে ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে ৫ হাজার কোটি টাকা সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন ও কল্যাণে থোক বরাদ্দ দেয়া। বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জাতীয় পে-স্কেলভুক্ত করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়