চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিক দোস্ত মোহাম্মদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা ও বহিষ্কারের আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার। মঙ্গলবার দুপুরে চবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতিবাদী মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। এ সময় চবি সাংবাদিক সমিতির নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য ক্যাম্পাসে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
এর আগে দুপুর ১টা থেকে চবির বঙ্গবন্ধু চত্বরের সামনে মানববন্ধন করে চবি সাংবাদিক সমিতি। সংগঠনের প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আজহারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চবিসাসের সাবেক সভাপতি সৈয়দ বাইজিদ ইমন, ইমরান হোসাইন, বর্তমান সভাপতি মাহবুব এ রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম, নবাব আব্দুর রহমান ও সমিতির সদস্য মারজান আক্তার প্রমুখ।
চবি সাংবাদিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করেন, সোমবার চবি ক্যাম্পাসে একটি চায়ের দোকানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিকের মুখে গরম চা ঢেলে দেন ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাসুদ। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিলে তার পেটে লাথি মারতে থাকেন খালেদ মাসুদ, শাখা ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হানসহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী। পরে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলেও অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অভিযুক্ত চবি ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ এর আগে ২০২১ সালেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার হয়েছিলেন।
মানববন্ধন থেকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে চবিসাস সভাপতি মাহবুব এ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, চবিতে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা নতুন নয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হওয়ায় ছাত্রলীগ দিনে দিনে আরো বর্বর হয়ে উঠছে। একজন কিডনি রোগীর ওপর এমন বর্বরোচিত হামলার বিচার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিত না করলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব। মানববন্ধন শেষে সাংবাদিক নেতারা উপাচার্য়ের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমার শিক্ষার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। আমি এর বিচার করবই। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেব।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অথবা নিরাপত্তাপ্রধান বাদী হয়ে মামলা করবেন এবং জড়িতদের বহিষ্কার করা হবে।