কাগজ প্রতিবেদক : সাভারের বংশী নদী দূষণ ও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে আদালতের আদেশ অনুসারে প্রতিবেদন দাখিল না করায় সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৮ জুলাই আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এ সময় আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আবেদনকারী আইনজীবী মোহাম্মদ বাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কালীপদ মৃধা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার বাকির হোসেন বলেন, বংশী নদীর পাড়ের জায়গা দখলমুক্ত করে সাভারের ইউএনওকে প্রতিবেদন দিতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু তিনি প্রতিবেদন দাখিল করেননি। নদীর জায়গাও দখলমুক্ত করেননি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের শুনানি শেষে সাভারের ইউএনওকে তলব করেন আদালত।
‘দখল-দূষণে শেষ বংশী নদী’ শিরোনামে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গিলে খাচ্ছে রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের বংশী নদী। এ নদীর বিরাট এলাকা প্রভাবশালীদের দখলে থাকলেও উদ্ধারে উদ্যোগ নেই। নদীর মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে দেদারসে। এসব কারণে ভালো নেই সাভার উপজেলার ৪০ থেকে ৪২ লাখ বাসিন্দা।
ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন সাভারের স্থানীয় বাসিন্দা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বাকির হোসেন।
ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে বংশী নদীর দূষণ বন্ধ এবং ৩০ দিনের মধ্যে দূষণ ও দখলদারদের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা), রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের নির্বাহী কর্মকর্তা, সাভারের ভূমি কর্মকর্তা, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ও সাভার থানার ওসিকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু আদালতের আদেশ মতো প্রতিবেদন না দেয়ায় ২০২১ সালে বিবাদীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আবার আবেদন করেন আইনজীবী বাকির হোসেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।