ঠিকানা নিয়ে ৩২ বার তদন্তে উষ্মা হাইকোর্টের

আগের সংবাদ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ দিয়ে ক্ষমতায় বসবে না আ.লীগ > সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : অন্য দেশের সঙ্গেও অর্থ বিনিময়ের সুযোগে ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

অর্থমন্ত্রীকে সাবের হোসেন চৌধুরী : তামাক ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন কেন

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, অর্থমন্ত্রী বাজেটে সব পণ্যের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ান, কিন্তু শুধু একটি পণ্যের দাম সরাসরি বাড়ান। সেটি হলো তামাক ও তামাকজাত পণ্য। এর ফলে পরোক্ষভাবে তামাক ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তামাক কোম্পানিগুলোকে এই সুবিধা দেয়ার কারণে অর্থমন্ত্রীকে সংসদে ব্যাখ্যা দিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশে প্রতি বছর তামাকের জন্য এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যান। কোভিডেও এত মানুষ মারা যায়নি। কোভিডে তিন বছরে ৩০ হাজার লোক মারা গেছে। এরপরও কেন অর্থমন্ত্রী তামাক পণ্য উৎপাদন করেন তাদের প্রতি বছর বাজেটে সুবিধা দেন?
তিনি বলেন, বাজেটে কর বাড়ানোর জন্য জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। আর অর্থমন্ত্রী নিজেই তামাক পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এভাবে দাম বাড়িয়ে তামাক কোম্পানিকে তিনি মুনাফার একটা সুযোগ করে দিচ্ছেন। কর যদি আরোপই করতে হয়, এমনভাবে করেন যাতে সরকার শতভাগ কর পায়। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে।
এ বিষয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী ব্যাখ্যা দাবি করে তিনি বলেন, তামাক পণ্য থেকে আমরা পাই ২২ হাজার কোটি টাকা। ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। একটা সারচার্জ আদায় হয়, এই সারচার্জ ৩০০ কোটি টাকা, এর মধ্য থেকে মাত্র ৯ কোটি টাকা আসে এই তামাককে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।
অন্যদিকে তামাকের কারণে বর্তমানে আমরা জিডিপির ২ শতাংশ হারাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালে আমরা ৯ শতাংশ হারাবো। সুতরাং, আসলে এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি আমাদের গ্রোথটাকে ধরে রাখতে চাই, তাহলে এক্ষেত্রে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য শুধু বাংলাদেশ না, সারা পৃথিবীর জন্য এক অস্তিত্ব সংকট। বাংলাদেশ আগামীতে কতটুকু এগিয়ে যেতে পারবে, তা নির্ভর করবে আমরা জলবায়ু পরির্তনজনিত ক্ষতি কীভাবে মোকাবিলা করছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, এই অর্থবছরের বাজেটে ৩৭ হাজার কোটি টাকার একটি বরাদ্দ দিয়েছেন। সরকারের ২৫টি মন্ত্রণালয় এই বরাদ্দ ব্যয় করবে।
তিনি আরো বলেন, আজ থেকে ১৩ বছর আগে ২০১০ সালে যখন কেউ জলবায়ু নিয়ে কথা বলতো না, তখন বাংলাদেশ তার নিজস্ব সম্পদ দিয়ে ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। একইভাবে কপ-২৭ এ লস এন্ড ড্যামেজে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা নিয়ে আমরা অনেক বছর ধরে আন্দোলন করে চলেছি।
সেটার একটি স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি। তার পাশাপাশি মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারেটি প্ল্যান প্রণয়ন ও সিজিএফে ক্লাইমেট ভার্নালেবল ফোরামের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিশ্বে একটা নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় উন্নয়ন পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের বিষয়টি বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়