যাত্রী কল্যাণ সমিতি : ২৭ জুন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে নজীরবিহীন নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

কেজিতে ২৫ টাকা বাড়ছে চিনির দাম

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কুরবানির ঈদের আগে ২২ জুন থেকে চিনির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিনিকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন। মিল মালিকদের এ সংগঠনটি বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) চিঠি দিয়ে দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। এর আগেও চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত আসার আগে মিলমালিকরা দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিলেন।
গতকাল সোমবার বিটিটিসির চেয়ারম্যান বরাবর দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, সমিতির সদস্যভুক্ত পরিশোধন কোম্পানিগুলোকে আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষায় চিনির প্রস্তাবিত দাম ২২ জুন বৃহস্পতিবার থেকে বাস্তবায়ন করা হবে।
জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা সরকারি এ সংস্থার কাছে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কেজিপ্রতি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৫০ টাকা ও খোলা চিনি ১৪০ টাকা করার প্রস্তাব করেন। বাজারে বর্তমানে সরকারিভাবে খুচরায় প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা ও খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা বেঁধে দেয়া আছে। সরকার নির্ধারিত এই দাম ব্যবসায়ীরা মানছেন না। নতুন করে প্যাকেটজাত চিনিতে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা ও খোলা চিনিতে ২০ টাকা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিনিকল মালিকরা। বাজারে এখন খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নাই বললেই চলে।
বাজার ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সমালোচনা করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা আলোচনা করে দাম বাড়াবে- এমন ধারণা মুক্তবাজার অর্থনীতির সঙ্গে যায় না। ব্যবসায়ীরা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইলে সরকার চিনি আমদানি করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পারে। তবে এমন যদি হয় কোনো কোম্পানি বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
সরকারের এখনকার নীতি অনুযায়ী, ভোজ্যতেল ও চিনির বাজারদর নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে দাম বাড়ানো বা কমানোর বিজ্ঞপ্তি আসে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে। এর আগে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রস্তাব নেয়ার পর বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন পুরো বাজার ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একটি প্রতিবেদন দেয়। এর আগের দফায় সরকারের সঙ্গে বসে দাম ঠিক করলেও মিলমালিকরা তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তখন অনেকটা বাধ্য হয়ে দাম মেনে নেন ব্যবসায়ীরা। এ জন্য চলতি মাসের শুরুতে মিলমালিকরা বিটিটিসিকে নতুন দাম প্রস্তাব করেন। ব্যবসায়ীরা জানান, বিশ্ববাজারে চিনির দাম বাড়তি। এ জন্য দেশের বাজারে দাম সমন্বয় করতে চান তারা।
এদিকে বিটিটিসি ১১ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানায়, এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে ২১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ২০২২ সালের ৮ জুন আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ছিল ৫৫১ দশমিক ৯৫ মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের ৮ জুন তা বেড়ে হয় ৬৭৩ দশমিক ১৫ ডলার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়