মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

সুদখোরের অত্যাচারে সাবেক চেয়ারম্যানের মৃত্যুর অভিযোগ : ঘটনার ১৪ দিন পর মামলা

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরীর (৬০) মৃৃত্যুর ১৪ দিন পর ৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। সৌম্য চৌধুরীর স্ত্রী ইলা চৌধুরী বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে দিরাই থানায় মামলা করেন।
মামলায় দিরাই পৌর সদরের আনোয়ারপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান হবু, দোওজ গ্রামের জসিম উদ্দিন, রাজানগর ইউনিয়নের রাজানগর গ্রামের স্বজল দাস, একই গ্রামের পুতুল দাস এবং অসিত দেব নাথকে আসামি করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে ইলা চৌধুরী উল্লেখ করেন, আমার স্বামীর আর্থিক সমস্যা দেখা দিলে হাবিবুর রহমান হাবিব ও জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে আমার স্বামীর কাছ থেকে ব্যাংকের চেকের খালি পাতায় স্বাক্ষর নেয়। আসামিরা কর্জের টাকাকে সুদের টাকা বলে প্রচার করে এবং স্বাক্ষর করা খালি চেকে ইচ্ছামত টাকার অঙ্ক বসিয়ে আদালতে চেক ডিসঅনার মামলা করে। মামলা চলা অবস্থায় দিরাই পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মোশাররফ মিয়ার মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হয় এবং সিদ্ধান্ত হয় আসামিরা মামলা তুলে নেবে। কিন্তু হাবিবুর রহমান ও জসিম উদ্দিন মামলা না উঠিয়ে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়ায় আদালত সাজা দেন। এরপর থেকে আমাদের বাড়িঘরসহ সব সম্পত্তি তাদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। না দিলে পুলিশে ধরিয়ে মানসম্মান নষ্ট ও হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার আগের দিন আমার স্বামীকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হলে বিষয়টি টের পেয়ে তিনি সিলেট যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে সংবাদ পাই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে একটি সড়কের পাশ থেকে আমার স্বামীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আমার স্বামী হাবিবুর রহমান ও জসিম উদ্দিনসহ উল্লেখিত আসামিদের মানসিক অত্যাচার ও নির্যাতনে মারা গেছেন বলে জানতে পারি। তিনি মৃত্যুর আগে ফেসবুকে নিজের এই পরিণতির জন্য হাবিবুর রহমান ও জসিম উদ্দিনসহ আসামিদের দায়ী করে স্ট্যাটাস দিয়ে গেছেন।
দিরাই থানার ওসি কাজী মুক্তাদীর হোসেন বললেন, এ ব্যাপারে নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়