মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

রামগঞ্জ : মাদ্রাসায় শিক্ষকের মারধরে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ল²ীপুর ও রামগঞ্জ প্রতিনিধি : রামগঞ্জে মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকের মারধরে কামরুল হোসেন শুভ (১৩) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল রবিবার সকালে রামগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
পরিবারের দাবি, শুভকে শিক্ষকরা মারধর করে হত্যা করেছেন। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত শুভ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাউধেরখিল গ্রামের আমির হোসেন লিটন ভূঁইয়া গাজীর ছেলে। সে রামগঞ্জ পৌরসভার রতনপুরে মোহাম্মদীয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সে হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। মাদ্রাসায় থেকে সে পড়াশোনা করত।
নিহত শিশুর পরিবার জানিয়েছে, গতকাল রবিবার সকালে খবর আসে শুভ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরপর তাকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত শুভর বাবা বলেন, আমার ছেলেকে রাতে শিক্ষকরা মারধর করেছে। তার কানের নিচে, হাঁটুতে ও হাতে কালো দাগ রয়েছে। শিক্ষকরা তাকে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মো. সাফায়েত বলেন, শুভ ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়েছে। পরে সে ক্লাসরুমে এসেছে। কিছুক্ষণ পড়ার পর শিক্ষককে জানিয়েছেন, তার মাথাব্যথা করছে। পরে তার মাথায় মলম লাগিয়ে দিয়ে বিশ্রামের জন্য বলা হয়। কিছুক্ষণ পর তাকে নাস্তা খাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে দেখা যায়, মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। পরে শুভকে দুই-তিনজন ধরে আমার কাছে নিয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারকে খবর দেয়া হয়। এরপর শুভকে হাসপাতাল নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য নাজমুল হক বলেন, শিক্ষকরা জানিয়েছেন শুভ হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে তার মুখ দিয়ে লালা ঝরছিল।
হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাকে মারধর করা হয়েছে কিনা তা বলতে পারছি না। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করবে। এতে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়