মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

মন্ত্রীর নির্দেশও উপেক্ষিত : মাটি ভরাট জটিলতায় আটকে আছে বিসিক শিল্পনগরীর কাজ

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের রাউজান বিসিক শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ পর্যায়ে এসে মাটি ভরাট জটিলতায় আটকে রয়েছে। জটিলতা নিরসনে এলাকার সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বিসিকের দায়িত্বশীলদের মৌখিকভাবে বার বার তাগিদ দিয়ে কাজ না হওয়ায় তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর বরাবরের চিঠি লিখে প্রকল্প কাজ এগিয়ে নিতে সহায়তা চেয়েছেন।
সংসদ সদস্যের চিঠি পেয়ে মন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে তার নির্দেশনা অনুসরণ করে মাটি ভরাট কাজের জটিলতা নিরসন করতে নিদেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় সংসদ সদস্যের চিঠি ও মন্ত্রীর এই নির্দেশ ছিল গত বছরের আগস্ট মাসে। কিন্তু বিসিক এখন পর্যন্ত সেই নির্দেশনা পালন করেনি।
জানা যায়, রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫ একর ভূমিতে প্রতিষ্ঠা হচ্ছে এই বিসিক শিল্পনগর। পরিকল্পনা অনুসারে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা গেলে এই শিল্পনগরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিভিন্ন জটিলতায় আটকে থাকা প্রকল্প শেষ করার জন্য দুই দফা সময় বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। জটিলতা নিরসন না করে ধীরগতিতে কাজ করায় এখন পর্যন্ত মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেরেছে। রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করতে সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এই সরকারের মেয়াদেই প্রকল্প কাজ শেষ করতে চেয়েছিলেন। তার অভিযোগ, বিসিক কর্তৃপক্ষ মাটি ভরাট কাজের প্রাক্কলন তৈরি করে ভরাট কাজের টেন্ডার আহ্বান করেছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সিডিউল অনুসরণ করে মাটি ভরাট করলেও প্রকল্পের শিল্প প্লট করার উপযোগী করা যায়নি। মেয়রের দাবি, এই প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট বিসিক কর্মকর্তারা ঠিকাদারকে প্রাক্কলন সংশোধন করে মাটি ভরাট কাজের ব্যয় বাড়ানোর কথা দিয়ে মাটি ভরাট করছে। যে আশ্বাসে তারা বর্ধিত মাটি ফেলছে এখন পর্যন্ত নতুন প্রাক্কলনের লক্ষণ না দেখে ঠিকাদারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছে বিসিক। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় এখন প্রকল্প কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার মেসার্স বোস্তামী এন্টারপ্রাইজের এক কর্মকর্তা শোয়েব-এ খান বলেছেন, বিসিক কর্মকর্তাদের আশ্বাসে কাজ করে তার বিশাল অঙ্কের টাকা আটকে গেছে। কর্তৃপক্ষের আশ্বাস অনুসারে পুন প্রাক্কলনের রিসিডিউল করা না হলেও তার প্রতিষ্ঠান করণীয় নির্ধারণ করে অগ্রসর হবে। গত ১ জুন বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে খবর নিতে গিয়ে রাউজান বিসিক শিল্প নগরীর কার্যালয়ে কথা হয় প্রকল্প পরিচালকের অধীনের কাজে নিয়োজিত বিসিক কর্মকর্তা আবদুল মতিনের সঙ্গে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় গত প্রায় এক বছর আগে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের দেয়া নিদেশ কেন পালন হচ্ছে না, আদৌ হবে কিনা
এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এ বিষয়ে এখনো নির্দেশনা তারা পাননি। তিনি কথা বলতে পরামর্শ দেন প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে। মুঠোফোনে প্রকল্প পরিচালক মিজান উদ্দিনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন। উল্লেখ্য, রাউজান শিল্পনগরটি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে ৩৫ একর জায়গার উপর। এতে সরকার ব্যয় করছে ৮০ কোটি টাকারও বেশি। এই শিল্পনগরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ১৮৪টি শিল্প প্লট করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়