মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

ব্রহ্মপুত্রে বিলীন চিলমারীর দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল এন্ড কলেজটি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭ শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বিঘিœত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গতকাল রবিবার ভোর ৫টা থেকে স্কুল এন্ড কলেজটি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হতে শুরু করে। এ সময় এলাকার শত শত মানুষ তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানটি নিজের চোখে নদীতে বিলীন হতে দেখে কাঁদতে থাকেন।
জানা গেছে, মূল ভবনটি ২০২০ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে হস্তান্তর করে। ভবনটি হস্তান্তরের আগে থেকেই এর পশ্চিমে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের গতি পথে থাকা এর তীরবর্তী বসতভিটা ও আবাদি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে যায়। কয়েক দিনের উজানের ঢল আর ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নদের ভাঙন আরো তীব্র আকার ধারণ করে। এতে ভাঙনের হুমকির মুখে পড়ে উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের চরাঞ্চলের একমাত্র উচ্চশিক্ষা নেয়ার দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠানটি।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর তীব্র ভাঙনে নয়ারহাট ইউপির শতাধিক পরিবার বাস্তুহারা হয়। ভাঙনে বিলীন হয় দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল এন্ড কলেজের একাংশ। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অনুরোধ করলে নামমাত্র কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানো হয়। গত এক বছরে ভাঙনের কবল থেকে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে আবারো ভাঙনের কবলে পড়ে ইউনিয়নের একমাত্র স্কুল এন্ড কলেজটি বিলীন হয়ে গেল। ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় ভাঙন হুমকিতে রয়েছে দক্ষিণ খাওরিয়া বাজারসহ স্থানীয় শতাধিক বসতভিটা। ভাঙন আতঙ্কে অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।
কলেজ অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি নয়ারহাট ইউপির একমাত্র মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অষ্টমীরচর ইউনিয়নসহ দুই ইউনিয়নের একমাত্র কলেজ এটি। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বিলীন হওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন দুটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বিঘিœত হয়ে পড়ল।
নয়ারহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, প্রতি বছর ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন অব্যাহত থাকে। কিন্তু যে সময় ভাঙন রোধে কাজ করার দরকার সেই সময় কোনো কাজ হয় না। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে কয়েকশ হেক্টর আবাদি জমিসহ শতাধিক বসতভিটা বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিলীন হওয়ায় এই চরাঞ্চলের অভাবী মানুষের সন্তানদের পড়ালেখা ব্যাহত হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, স্কুল এন্ড কলেজটি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিভিন্ন সময় জানানো হয়েছিল। ভবনটি বিলীন হলেও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যেন ব্যাহত না হয় সেজন্য আমরা পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে স্কুল এন্ড কলেজের কার্যক্রম শুরু করেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়