মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত পাপনের

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদে ১১ বছর দায়িত্বে থাকার পর এবার এ পদ থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তবে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ নয়, বরং আগামি সভাপতি নির্বাচন থেকে আর অংশ না নেয়ারই ইচ্ছার কথা জানান। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই ক্রীড়া সংগঠক।
গতকাল নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ওষুধের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এরপর আমি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কারণ এটা আমার পারিবারিক ঐতিহ্য। আমার বাবা (সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান) করতেন, আমিও করছি এবং ভবিষ্যতেও করব। এছাড়া রাজনীতির বাইরে আরো অন্তত ২০টা জায়গায় যেখানে আমাকে নিয়মিত সময় দিতে হয়।’
ক্রিকেটের কারণে অনেক কিছুতে সময় দেয়া হচ্ছে না জানিয়ে পাপন বলেন, ‘ক্রিকেট আমার সবটুকু সময় নিয়ে নিচ্ছে। আমার খুব জরুরি একটা মিটিং ছিল। এতটা জরুরি যা বলে বোঝাতে সম্ভব নয়। কিন্তু জাতীয় দলের খেলার মধ্যে মাঠে থাকার কারণে কোনোভাবেই আমার মিটিংয়ে থাকা সম্ভব হয়নি। খেলা বাদ দিয়ে আমার পক্ষে মিটিং এটেন্ড করা সম্ভব না।’
কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে? ১১ বছর একই দায়িত্ব পালন করার পর পাপন দায়িত্ব থেকে অবহ্যতির পুর্বাভাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটের পিছনে আমার সব সময় যাচ্ছে।
আমি মনে করছি ক্রিকেট থেকে আমার সরে যাওয়ার সময় হয়েছে গিয়েছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখান থেকে আমার যাওয়া প্রয়োজন। ক্রিকেটের কারণে অন্য যেসব জায়গায় সময় দিতে পারছি না, সেটাও আমার দায়িতে¦র মধ্যে পরে। ক্রিকেটকে তো অনেকটা সময় দিলাম।’
সভাপতি হিসেবে নানা আলোচনা সমালোচনা থাকলেও বাংলাদেশের ক্রিকেট তার সময়ে অনেকটা উন্নতি করেছে বলে মনে করেন ক্রীড়াবিশ্লেষকরা। পাপনের আমলেই ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের মাটিতে আয়োজিত হয়। এই দীর্ঘ সময়কালে বাংলাদেশের পুরুষ দল ছাড়াও বয়সভিত্তিক দল ও নারী দল ব্যাপক উন্নতি করে। ২০২০ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি নারী দল জেতে ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেটে পাপনের অবদানকে অস্বীকার করতে পারবেন না খোদ সমালোচকরাও।
কিন্তু পাপন তো শুধু বিসিবির সভাপতিই নন। এর বাইরে আরো অনেক কিছুতে সম্পৃক্ত। তিনি একজন সংসদ সদস্য, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও জড়িত। সবকিছু মিলিয়ে ভীষণ ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। তাই প্রায় এক যুগ অভিভাবকের দায়িত্ব পালনের পর সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরে আসার কথা জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়