মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

জমে উঠেছে এজবাস্টন টেস্ট

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চলছে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ইংল্যান্ডের মারমুখী ব্যাটিংয়ের বিপরীতে রক্ষণাত্মক টেস্টই খেলেছে সম্প্রতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী অস্ট্রেলিয়া। রক্ষণধর্মী খেলায় ধীরে ধীরে রান তুলে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছোঁয়ার চেষ্টায় ভালোভাবেই এগিয়ে চলছিল অজিরা। তবে গতকাল ম্যাচের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে হঠাৎ খেই হারায় প্যাট কামিন্সের দল। পাঁচ ওভারের ব্যবধানে শেষ চার উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ইংলিশদের চেয়ে ৭ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে। আরেকদিকে ৭ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ২৬ রান করেছে। ১৮ রান করে অপরাজিত আছেন বেন ডাকেট এবং জ্যাক ক্রলি অপরাজিত আছেন ৭ রানের ইনিংস খেলে।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনটা ছিল অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তারা সেদিনই ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রানে পৌঁছে যায়। এর মধ্যে বেন স্টোকসের অব স্টাম্পের বাইরে করা বলে লেট কাট শট খেলে ইংল্যান্ডের মাটিতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূরণ করেন অজি ওপেনার উসমান খাজা। দলের খুব প্রয়োজনের সময় এই সেঞ্চুরি করতে পারায় যেন আরো বেশি আনন্দিত ছিলেন খাজা। তার মধ্যে ছিল ট্রাভিস হেড ও অ্যালেক্স ক্যারির ফিফটি। সব মিলিয়ে একটা ভালো দিন কাটিয়ে ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষ করেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। চতুর্থ দিনে গতকাল তারা মাঠে নামেন ইংলিশদের চেয়ে মাত্র ৮২ রানে পিছিয়ে থেকে, হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। তাছাড়া মাঠে ছিলেন খাজা ও অ্যালেক্স ক্যারির মতো ভরসাযোগ্য ব্যাটার।
উসমান খাজা ১২৬ রানে এবং ক্যারি ৫২ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থায় শুরু হয় তৃতীয় দিনের লড়াই। ক্যারি এর আগের দিন রয়েসয়ে ব্যাট চালালেও গতকাল দিনের শুরু থেকেই মারমুখী খেলার চেষ্টা করেন। তার ফলাফল হিসেবে দিনের খেলা পঞ্চম ওভারে গড়ানোর পরই তিনি ফিরে যান সাজঘরে। জেমস অ্যান্ডারসনের বলের গতিবিধি বুঝতে না পেরে সরাসরি বোল্ড হয়ে আউট হন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ক্যারির ব্যাট থেকে ৯৯ বলে ৬৬ রান যোগ হয় অস্ট্রেলিয়া দলের স্কোরবোর্ডে। এই ইনিংস খেলার পথে তিনি ১০টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কা হাঁকান।
এরপর সেঞ্চুরি করা ওপেনারের সঙ্গী হয়ে দলকে লিড নেয়ার পথে এগিয়ে নিতে থাকেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তিনিও শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা শুরু করেন। আরেকদিকে ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই ধৈর্য ধরে একের পর এক বল ডিফেন্স করে চলছিলেন খাজা। তৃতীয় দিনে তার ইনিংসের সঙ্গে তিনি কেবল ১৫ রান যোগ করতে সক্ষম হন। প্রথম দিনের শেষ দিকে মাঠে নামার পর তিনি পুরো দ্বিতীয় দিন এবং তৃতীয় দিনের ১৯ ওভার পর্যন্ত দলের হাল টানেন। তৃতীয় দিনের ১৯তম ওভারে তিনি রবিনসনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরমুখী হন। খাজা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ১৪১ রানের ইনিংস খেলার পথে ১৪টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ছক্কা হাঁকান।
১৪১ রানের ইনিংস খেলার পখে তিনি ৩২১টি বল মোকাবিলা করেন। তার খেলা বলের সংখ্যা দেখলেই ধারণা করা যায় এই ওপেনার কতটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়েছেন। খাজার মাঠে থাকাকালেই প্যাট কামিন্স দলের জন্য কিছু রান করার সুযোগ পান। তিনি ফিরে যাওয়ার পর আর কেউ উইকেটে থিতু হতে পারেননি। নাথান লায়ন অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে এসে ৬ বলে মাত্র ১ রান নিয়ে বিদায় নেন। এরপর ৫ বলে রানের খাতা না খোলেই সাজঘরের দিকে হাঁটা ধরেন বোল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে তিনটি ছয়ের সমন্বয়ে ৩৮ রান করে আউট হন অধিনায়ক কামিন্সও। তার উইকেট হারানোর মধ্য দিয়ে ইংলিশদের চেয়ে মাত্র ৭ রানে পিছিয়ে থেকে আটকে যায় অজিদের ইনিংস। আরেক প্রান্তে অপরাজিত ছিলেন ১ বলে ১ রান করা পেসার জশ হ্যাজেলউড।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে লাল বলের শিরোপা ঘরে তোলার পর এটি অস্ট্রেলিয়া দলের প্রথম ম্যাচ। সাদা পোশাকের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া যেমনভাবে লড়াই করতে পেরেছিল সেভাবে ইংলিশদের বিপক্ষে তাদের লড়াইটা জমে উঠছে না। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ইংলিশ ওপেনার জ্যাক ক্রলি এবং বেন ডাকেট প্রথম দিনের মতো আগ্রাসী শুরু না করলেও তারা অধিক রানের টার্গেট দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছে। তৃতীয় দিনের দুই সেশন এবং ম্যাচের শেষ দুই দিন তাদের হাতে থাকায় বড় সংগ্রহ গড়া অনেকটাই সহজ। একদিন এবং এক সেশন আগে যতি ইংলিশরা বড় সংগ্রহ তৈরি করে ইনিংস ঘোষণা করে এবং বাকি সময়ে অজিদের অল আউট করতে পারে, তাহলে অনায়াসে অ্যাসেজের প্রথম টেস্টে জয় পাবে ইংল্যান্ড।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়