আতিক ইসলাম সিকো, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে : টানা দাবদাহে পিচ গলে বসে যাচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ। সরজমিন দেখা গেছে, ব্যস্ত এ মহাসড়কটির অন্তত অর্ধশত স্থানে পিচ গলে উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েকটি জায়গায় সড়কের উপর বাঁক তৈরি হয়েছে। ফলে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এর শিকার হচ্ছে ছোট ছোট যানবাহন। বিশেষ করে রাতে মোটরসাইকেল চালকরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বেশি।
প্রতিবাদ জানিয়ে ও দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবিতে প্রায় ঘণ্টাখানেক সড়ক অবরোধেরও ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী মহাসড়কের হরিপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। এ সময় দুপাশে আড়াই শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। এমনকি বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা ও ফাঁড়ির বাড়তি পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে ব্যস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী মহাসড়কের অনিরাপদ স্থানগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে- এমনটাই জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।
বিক্ষোভকারী হরিপুর এলাকার বাসিন্দা এবাদুল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে ছোট ছোট যানবাহনগুলো দুর্ঘটনায় পড়ছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দশটি মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন মারাত্মক আহত হন। তারা বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
একই এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়ক সংস্কারের জন্য একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করে এর প্রতিবাদ জানানো হয়। দুর্ঘটনার শিকার মোটরসাইকেলচালক আওকাত আলী বলেন, রাস্তার একপাশ দিয়ে ভারী ট্রাকের চাকা গিয়ে বেশ কিছু অংশ দেবে গেছে- যা রাতের বেলা দূর থেকে বোঝার উপায় নেই। ওই স্থান দিয়ে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে। পরে পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস এসে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা আফরিন ঝিনুক বলেন, প্রচণ্ড দাপদাহের কারণে মহাসড়কের পিচ বাঁকা ও উঁচু-নিচু হচ্ছে, গোল গর্ত তৈরি হচ্ছে। ওইসব ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামতে কাজ শুরু হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার।