জিএম কাদের : স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে সাংবাদিকতা অনিরাপদ

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে লিটনকে টেক্কা দেয়ার মতো প্রতিদ্ব›দ্বী নেই

পরের সংবাদ

স্থানীয় গরুর দখলে থাকবে হাট : বরিশালে চাহিদা কমতে পারে কুরবানির পশুর

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম. কে. রানা, বরিশাল : বরিশাল বিভাগে গত বছরের তুলনায় এবার কুরবানির পশুর চাহিদা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। মহামারি করোনা, বৈশ্বিক মন্দা ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে শেষ সময়ে গিয়ে চাহিদায় পরিবর্তনও ঘটতে পারে বলে জানান তারা। ২০২১-২২ সালে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় গবাদিপশুর চাহিদা ছিল চার লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৭টি। আর এবার এই চাহিদা কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ১১ হাজার ২৯টি। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ৮৮ হাজার পশুর চাহিদা কম। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বরিশালের ছয় জেলায় ২০২১-২২ সালে যে পশু কুরবানি হয়, তার মধ্যে গাভী বা বকনা গরুর সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৭১২টি, ষাঁড় বা বলদ গরুর সংখ্যা ছিল দুই লাখ ২৮ হাজার ৩৩৪টি, মহিষ ছিল আট হাজার ৩৪১টি, ছাগল এক লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৪টি ও ভেড়া সাত হাজার ১০৮টি। এবারের প্রাথমিক হিসাবে এখন পর্যন্ত বিভাগের ২২ হাজার ৯৮৩ জন খামারির কাছে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে এক লাখ কুরবানির উপযোগী গবাদিপশু রয়েছে। তবে কুরবানি এ মাসের শেষের দিকে হওয়ায় হিসাবটি এখনো পূর্ণাঙ্গ নয়, কারণ এতে সব গৃহস্থ ও খামারিদের গরুর সংখ্যা এখনো নির্ণয় হয়নি। গত বছর শুধু স্থানীয় খামারিরা দেড় লাখের ওপরে কুরবানির উপযোগী গরুর জোগান দিয়েছিলেন। বরিশাল সদরের খামার মালিক জাহিদুর রহমান বলেন, বরিশাল অঞ্চলের ক্রেতারা সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে গরু কিনতে অভ্যস্ত নয়। বেপারিরা খামার থেকে গরু কিনে হাটে তোলার পর সাধারণ ক্রেতারা সেখান থেকে গরু কেনেন। এজন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে বড় অঙ্কের অর্থ চলে যায়। তাতে গরুর মূল্যও বেশি পড়ে। সাধারণ ক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অন্যদিকে বিভাগের বিভিন্ন খামারে গরু, মহিষ ও ছাগলের বাচ্চা কিনে প্রায় ৯ মাস লালন-পালন করছেন খামারিরা। খরকুটো ও কাঁচাঘাসসহ প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে তাদের মোটাতাজা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। আর এখন কুরবানি সামনে রেখে খামারের প্রায় সব পশুই বিক্রির উপযোগী। বাবুগঞ্জের গরুর খামারি শফিক ইসলাম বলেন, আমার খামারে ২০টি গরু সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হয়। এর মধ্যে খামারে এসেই ছয়টি গরু কিনে নিয়েছেন ক্রেতারা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. আব্দুস সবুর বলেন, ২০ শতাংশের কিছু বেশি গরু বাইরের জেলা থেকে সরবরাহ করার প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করছি। বাকি ৬০ শতাংশ পশু স্থানীয় খামারি এবং ২০ শতাংশ গৃহস্থালী পর্যায় থেকে জোগান দেয়া সম্ভব হবে। এবার ভারতীয় গরু না এলে কুরবানির হাটে স্থানীয় গরুর দখলে থাকবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়