জিএম কাদের : স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে সাংবাদিকতা অনিরাপদ

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে লিটনকে টেক্কা দেয়ার মতো প্রতিদ্ব›দ্বী নেই

পরের সংবাদ

গাবতলীর আরএমপি উচ্চ বিদ্যালয় : বেতন তুললেও নেই লাইব্রেরি

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া গাবতলীর মড়িয়া আরএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান (শিক্ষক) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত হয়ে ৪ বছর ধরে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন করলেও ওই বিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লাইব্রেরি নেই। সহকারী লাইব্রেরিয়ানের কোনো কার্যক্রম ছাড়াই সরকারি কোষাগার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ টাকা বেতন ভাতা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার ঘটনায় এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের পক্ষে ঢাকাস্থ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর অনুলিপি দেয়া হয়েছে বগুড়া জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশন, গাবতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে।
দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, মড়িয়া আরএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথমে ২০১৬ সালের ৬ জুন ভুয়া সনদের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে মোছা. ছামছুন্নাহার খাতুন সহকারী লাইব্রেরিয়ান (শিক্ষক) নিয়োগ লাভ করেন। ভুয়া সনদের কারণে দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। পরবর্তীতে তার আত্মীয়স্বজন প্রভাব খাটিয়ে ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত হন মোছা. ছামছুন্নাহার খাতুন। যার (ইনডেক্স নং ১১৫৬৩১৭)। উক্ত সহকারী লাইব্রেরিয়ান (শিক্ষক) ছামছুন্নাহার খাতুন বিদ্যালয়ের কোনো কাজকর্ম করে না এবং বিদ্যালয়টি কোনো লাইব্রেরি এখন পর্যন্ত স্থাপন করা হয়নি। বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকার লোকজন প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি (প্রধান শিক্ষক) বলেন তার আত্মীয়স্বজন প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে কিছু বলা যায় না। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী লাইব্রেরিয়ান (শিক্ষক) ছামছুন্নাহারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঠিক নিয়ম অনুযায়ী আমাকে নিয়োগ দেয়ার পর এমপিওভুক্ত হয়েছি এবং যথাযথভাবে বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছি। তবে আমার বিরুদ্ধে একটি মহল গভীরভাবে ষড়যন্ত্র করছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালে লক্ষাধিক টাকার বই ক্রয় করে লাইব্রেরি করা হয়েছিল। এ ছাড়া সঠিক নিয়ম অনুযায়ী লাইব্রেরিয়ান (শিক্ষক) পদে নিয়োগ হয়েছে। এখন লাইব্রেরি বা বইগুলো কোথায় গেছে আমাদের জানা নেই।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, দায়েরকৃত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মড়িয়া আরএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদকে বিদ্যালয়ে পাওয়ায় না গেলেও সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহমুদা নাসরিন জানান, এই বিদ্যালয়ে তেমন কোন সমস্যা নেই। সহকারী লাইব্রেরীয়ান (শিক্ষক) ছামছুন্নাহার বিদ্যালয়ে নিয়মিত কাজ করছেন। এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যারা লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা হলে মো. আনোয়ার, মো. মিলন সরকার, মো. ওয়াছ কুরানী, মো. জাকির হোসেন মিলন ও মোস্তাক আহম্মেদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়