পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

হত্যাচেষ্টার মামলায় ২ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার দাবি : নলছিটিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি : ঝালকাঠির নলছিটিতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির মামলার আসামি দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বাদী জাহানুর বেগম সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের বিন্দুঘোষ গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী। গতকাল শুক্রবার পৌরসভার বাইপাস সড়কে একটি বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাহানুর বেগম এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে জাহানুর বেগম বলেন, জমিজমা নিয়ে একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবির, রবিউল ইসলাম রুবেল ও আনসার সদস্য হেমায়েত উদ্দিনের সঙ্গে তার পরিবারের বিরোধ রয়েছে। গত ঈদুল ফিতরের সময় ওই তিনজন ছুটিতে বাড়িতে আসেন। গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে বিন্দুঘোষ গ্রামের হাওলাদার বাড়ির কালভার্টের উপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় সালিশ বৈঠক চলাকালে ওই তিন ভাই ও তাদের স্ত্রী-সন্তানরা দেশীয় অস্ত্র, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে জাহানুর বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৫-৬ জনকে গুরুত্বর জখম করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা জাহানুর বেগমের কাপড় খুলে শ্লীলতাহানি করে। চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা জাহানুর বেগমের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নলছিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জাহানুর বেগমের স্বামী তোফাজ্জল হোসেন ও দেবর ওমর ফারুক রাকিবের অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওইদিন হামলার খবর শুনে নলছিটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীরা পুলিশে চাকরি করায় তাদের আটক করেনি। এরপর তিনি নলছিটি থানায় এজাহার দায়ের করতে গেলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। আহতদের চিকিৎসা শেষে গত ২ মে জাহানুর বেগম বাদী হয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি মামলা করলে বিচারক নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নালিশি দরখাস্তটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ মামলা নিলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার করেনি। কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন। মামলার মূল আসামিরা জামিন না নিয়ে নির্বিঘেœ কর্মস্থলে চাকরিরত। জাহানুর বেগম বলেন, ওই পুলিশ সদস্যরা পরিবারের লোকজনকে বাদী বানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে হয়রানি করে আসছে। তিনি ওই দুই পুলিশ সদস্যসহ মামলার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নলছিটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তানজিলুর রহমান বলেন, মামলার পাঁচজন আসামি জামিনে আছেন। বাকি আসামিরা তাদের কর্মস্থলে রয়েছেন। এলাকায় না থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়