পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

কনস্টেবল বাদল হত্যা : ১০ বছর পর মূল আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মাদক কারবারী রিপন নাথ ঘোষ বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। এর পেছনে পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়ার হাত রয়েছে বলে সে সন্দেহ করত। তাই নির্বিঘেœ মাদক ব্যবসার জন্য রিপন তার সহযোগীদের নিয়ে বাদলকে হত্যা করে।
২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলে পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি রিপনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি এলাকা থেকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্নসহ অজ্ঞাত এক যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে জানা যায়, মৃত ব্যক্তি পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল রিপনকে প্রধান অভিযুক্ত করে মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় কনস্টেবল হত্যার আসামি অবস্থান করছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মাদকসহ বিভিন্ন নামে নিবন্ধনকৃত ৯টি মোবাইল সিম।
রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র?্যাব মুখপাত্র বলেন, ২০১২ সালে ৯ নভেম্বর মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রিপনের অন্যতম সহযোগী তার খালাতো ভাই গোপাল চন্দ্র পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এর কিছুদিন পর একটি মাদকবিরোধী অভিযানে রিপন ও তার এক সহযোগী মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়। ওই অভিযানিক দলের সদস্য ছিলেন কনস্টেবল বাদল। গ্রেপ্তারের পর ২ মাস কারাভোগ করে জামিনে বের হয়ে আসে রিপন। কনস্টেবল বাদল তখন মতিঝিল এলাকায় বাস করতেন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তারের পেছনে বাদলের হাত রয়েছে বলে তারা সন্দেহ করে। নির্বিঘেœ মাদক ব্যবসা চালানোর জন্য রিপন তার সহযোগীদের নিয়ে বাদলকে হত্যা করে। কমান্ডার মঈন বলেন, কনস্টেবল বাদল হত্যার ঘটনায় রিপন গ্রেপ্তার হলেও মামলার বিচার কাজ চলা অবস্থায় জামিনে বের হয়ে সে আত্মগোপন করে। গ্রেপ্তার এড়াতে সে ছদ্মবেশ ধারণ করে এবং কিছুদিন পর পর বাসা বদল করত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়