সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

সীমান্তে পাঁচটি উন্নয়ন কাজ চালুর সম্মতি বিএসএফের : সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্ধ থাকা উল্লেখযোগ্য ৫টি নির্মাণ কাজ চালুর ব্যাপারে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এছাড়া মাদক পাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, স্বর্ণ, অস্ত্র, জাল মুদ্রার নোট পাচারসহ চোরাচালান প্রতিরোধে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে উভয়পক্ষ গুরুত্ব দিয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ডিজি মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়েছে। গত ১১ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ৫৩তম এই সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি ডিজি বলেন, এবারের সম্মেলনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য হচ্ছে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্ধ থাকা ৫টি কাজ চালু করার ব্যাপারে অনুমোদন পাওয়া গেছে। এসব উন্নয়নমূলক কাজ সীমান্তবর্তী জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। এগুলো হলো- রামগড় স্কুল বিল্ডিংয়ের অসম্পন্ন কাজ, তিন বিঘা করিডোর এলাকায় ঝালংগী পকেট ও ভিতরবাড়ি পকেট এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন, শেরপুরের ভোগাই নদীর তীর সংরক্ষণ, জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদী ও রহিমপুর খালের সংযোগস্থল পুনর্খনন এবং নেত্রকোনার ভবানীপুর সীমান্তে ১ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা। তিনি বলেন, উভয় বাহিনীর মধ্যে পূর্বানুমতি ছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ শুরু না করার ব্যাপারে পারস্পরিক সম্মতি হয়েছে। সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বন্ধ থাকা উন্নয়ন কাজ জয়েন্ট ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে সম্মতি পাওয়া গেছে। ভারতে বসবাসকারী বলপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধে বিএসএফ সীমান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি উভয় দেশের দালাল চক্র দমনে পরস্পরকে সহায়তা দিতে উভয়পক্ষ রাজি হয়।

তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে দুদেশের নাগরিকদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম প্রতিরোধে সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু রাখতে উভয় পক্ষ গুরুত্বারোপ করেছে। এছাড়া আন্তঃসীমান্ত অপরাধ- মাদক পাচার, অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, স্বর্ণ, অস্ত্র, জাল মুদ্রার নোটসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাচালান প্রতিরোধে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে উভয়পক্ষ তথ্য বিনিময় করেছে। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে অপরাধীদের সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে পাঠানো হবে।
এছাড়া এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে বম জনগোষ্ঠী ভারতের মিজোরামে চলে যাচ্ছে বলে বিএসএফ তথ্য উপস্থাপন করে। এ প্রসঙ্গে বিজিবি মহাপরিচালক বিএসএফ কর্তৃপক্ষকে জানান, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের কারণে ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশেরই পার্বত্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। উভয় দেশে তাদের আত্মীয়-পরিজনরা বসবাস করছে। স¤প্রতি পাহাড়ী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি দমনে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রপাগান্ডার অংশ হিসেবে কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে সন্ত্রাসীগোষ্ঠী জোরপূর্বক মিজোরামে পাঠিয়ে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে জাতীয়তা নিশ্চিত করার সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আশ্বাস দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়