সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

আধাসামরিক বাহিনী : সুদানের আঞ্চলিক গভর্নরকে তুলে নিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সুদানের পশ্চিম দারফুরের গভর্নর খামিস আব্বাকার এল জেনেইনায় আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) এর হাতে নিহত হয়েছেন। গত বুধবার দুটি সরকারি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-আরাবিয়ার। আব্বাকার আরএসএফ এবং সহযোগী মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ করেছিলেন। তিনি একে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। প্রতিদ্ব›দ্বী জেনারেলদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই দেশটিকে একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে নিমজ্জিত করার প্রায় দুই মাস পর সুদানের সেনাবাহিনী পশ্চিম দারফুর রাজ্যের গভর্নরকে ‘অপহরণ ও হত্যা’ করার জন্য আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফকে অভিযুক্ত করেছে।

ঘটনাটিকে ‘নৃশংস কাজ’ বলে অভিহিত করে দেশটির সেনাবাহিনী ফেসবুকে বলেছে, ‘খামিস আবদুল্লাহ আবাকারের হত্যার মানে হল আরএসএফ ‘তার বর্বর অপরাধের রেকর্ডে একটি নতুন অধ্যায় যোগ করেছে যা এটি সমস্ত সুদানের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত করেছে।’
সুদানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পূর্ব দারফুরের গভর্নরকে প্রথমে তুলে নিয়ে যায় আরএসএফ। এরপর তাকে হত্যা করা হয়। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে সুদানে বেসামরিক সরকারের পতন ঘটনো হয়। এরপর দেশ শাসন করছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক সহযোগী ও আরএসএফ প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলুর মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্ব›দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হলে গত ১৫ এপ্রিল রাজধানী খারতুমে সেনাবাহিনীর ব্যারাকে হামলা করে বসে আরএসএফ।
দুই বাহিনীর লড়াইয়ে সুদানে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮০০ মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন এন্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্ট (এসিএলইডি)। জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলমান এ লড়াইয়ের কারণে সুদানে ২০ লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া ৪ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়