মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : মদন উপজেলার নারীদের উচ্চ শিক্ষার একমাত্র বিদ্যাপীঠ জোবাইদা রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান ও মো. শাহ আলম। এ ছাড়াও কলেজের অর্থ নয়-ছয়সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
লিখিত অভিযোগ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জোবাইদা রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন অন্যত্র চাকরি নিয়ে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি এই কলেজ থেকে পদত্যাগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে পদটি শূন্য হলে তাৎক্ষণিকভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয় কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি স্কুল ও কলেজ জনবল এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ পাবেন ওই কলেজের জ্যেষ্ঠ সহকারী অধ্যাপক। কিন্তু নিয়ম ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে জ্যেষ্ঠতার দিক দিয়ে চতুর্থ বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাজী করনীকে (মানিক) গত ২৩ জানুয়ারি নিয়োগ দেয়া হয়। এ নিয়ে কলেজের গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্য প্রতিবাদ জানালেও দীর্ঘদিনেও বিষয়টি সুরাহা করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। অবশেষে গভর্নিং বডির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান ও মো. শাহ আলম গত ২৮ মে মাউশির মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন।
জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রথম স্থানে থাকা ওই কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ নেয়ার জন্য আমি গভর্নিং বডির সভাপতি বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নীতিমালা লঙ্ঘন করে চতুর্থ স্থান অধিকারীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাজী করনী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জোবাইদা রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, আমার যোগদানের আগে কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নেয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, জোবাইদা রহমান মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিদায়ী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অচিরেই কলেজ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।