কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকার একটি বাসায় মা ও মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
মৃতরা হলেন- মাহমুদা আক্তার বৃষ্টি (৩৩) ও তার মেয়ে সানজা মারওয়া (১০)। দুজনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাহমুদার স্বামী সেলিমকে (৪০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে বনশ্রী ফরাজী হাসপাতাল থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে মা-মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বৃষ্টির স্বামী সেলিমের দাবি, বৃষ্টি নিজে কিছু খেয়েছেন এবং পরে মেয়েকে কিছু খাইয়ে হত্যা করেছেন।
তবে মাহমুদার মামা রাসেল শিকদার অভিযোগ করেন, সেলিমের অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে। একাধিকবার একাধিক মেয়েকে বিয়ে করেছেন তিনি।
এসব বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। এ নিয়ে ঝগড়া হলে সেলিম বৃষ্টিকে মারধর করতেন। সেলিমই বৃষ্টিকে কিছু খাইয়ে অথবা শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। মেয়ে তা দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করেছেন।
তিনি আরো জানান, মাহমুদার সাত-আট মাস বয়সি সারিন নামে আরো এক সন্তান রয়েছে। পশ্চিম মেরুল বাড্ডার জামশেদ টাওয়ারের ৮ম তলায় থাকতেন তারা।
এটি বৃষ্টির স্বামী সেলিমের নিজের বাড়ি। সেলিম কিছুই করতেন না। ফ্ল্যাটের ভাড়া তুলে সংসার চালাতেন।
বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাদেক বলেন, খবর পেয়ে বনশ্রী ফরজী হাসপাতাল থেকে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাদের দুজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।