প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলন দুদিন স্থগিত : প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আশ্বাস বিএসএমএমইউ উপাচার্যের

আগের সংবাদ

আনন্দে পাঠ উৎসবে মূল্যায়ন : ষষ্ঠ ও সপ্তমে চলছে ‘ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন উৎসব’, ঈদুল আজহার পর মূল্যায়নের বিশ্লেষণ

পরের সংবাদ

বাঘায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : বাঘায় পদ্মার চরাঞ্চলের চতুর্থ শেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর চাচা সাইদুর রহমান। গত মঙ্গলবার রাতে বাঘা থানায় এ মামলাটি করা হয়। মামলায় পলাশি ফতেপুর গ্রামের মোজাম হোসেনের ছেলে শিমুল হোসেন, আব্দুর রহিমের ছেলে পারভেজ আলী (২৩) ও আসলাম বেপারির ছেলে রকি আহমেদকে (১৮) আসামি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানোর হয়।
স্থানীয় ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রীর মা আমেরজান বিবি সৌদি প্রবাসী। পিতা জাহিদুল ইসলাম ঢাকায় রিকশা চালান। ওই ছাত্রী ও তার ছোট ভাই দাদার কাছে থেকে লেখাপড়া করে। গত মঙ্গলবার স্কুলে না যাওয়ায় ছাত্রীর চাচা সাইদুর রহমান বকাঝকা করেন। এরপর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে চকরাজাপুর বাজারে যাওয়ার পাকা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। অপরদিকে মোটরবাইকে আসছিল তিন যুবক। ফাঁকা রাস্তায় শিশুটিকে একা পেয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তারা উদপুর গ্রামের আমিনের খাপালের পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে শিমুল হোসেন হোসেন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। অপর ২ জন পারভেজ আলী (২৩) ও রকি আহমেদ পাহারা দিচ্ছিলেন।
মামলার বাদী সাইদুর রহমান জানান, শিশুটির বিষয়ে জানার পর এলাকার লোকজন তাদের ধাওয়া করে। এরপর তারা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে গত মঙ্গলবার রাতে শিমুল হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন সাইদুর।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডি এম বাবুল মনোয়ার বলেন, দুই সন্তানের জনক শিমুলসহ অপর ২ জন পারভেজ ও রকি আহমেদ দিনমজুর। যখন যে কাজ পান করেন। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
সরজমিন ওই এলাকায় গিয়ে মামলায় অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। শিমুলের বাড়ি ছিল তালাবদ্ধ। তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। রকির পিতা আসলাম বেপারি জানান, তার ছেলে শিমুল হোসেনের সঙ্গে কাজ করে। সেই সুবাদে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে জেনেছেন বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে।
বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়