কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলকে চিঠি দিয়েছেন। গত সোমবার এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। এ বিষয়ে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ছয় এমপির মতামত একবারেই তাদের নিজস্ব।
চিঠি পাঠানো ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই ছয় সদস্য হলেন- স্টেফানেক ইভান (স্লোভাকিয়া), মাইকেলা সোজড্রোভা (চেক প্রজাতন্ত্র), আন্দ্রে কোভাতচেভ (বুলগেরিয়া), কারেন মোলচিওর (ডেনমার্ক), জাভিয়ের নার্ট (স্পেন) এবং হেইডি হাউটালা (ফিনল্যান্ড)। চিঠিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তা বন্ধ করা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদ্যমান সংকটে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমে টেকসই ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধান খুঁজে বের করার কথা বলা হয়েছে।
চিঠির শুরুতে আাগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয় এবং এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান ছয় এমপি। ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে বলেও চিঠিতে অভিযোগ করেন তারা। এতে ইইউ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে ইইউ নেতৃত্ব আইনের শাসন এবং মানবাধিকার নিয়ে গোটা বিশ্বে কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। আমরা বিশ্বাস করি, বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতার দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইইউর জোরদার কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু মানবাধিকার নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে গেলেই হবে না, এর দৃশ্যমান অগ্রগতিও দেখাতে হবে। চিঠিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদের ইইউ দেশগুলোতে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ এবং জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে শর্তগুলো মনে করিয়ে দেয়ার মতো সম্ভাব্য ব্যবস্থার সুপারিশও করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।