হাসপাতালে খালেদা জিয়া

আগের সংবাদ

অপরাধের স্বর্গরাজ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প

পরের সংবাদ

সচিব জাহাংগীর আলম : এনআইডি স্বরাষ্ট্রে গেলে ইসির কিছু বলার নেই

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, সরকার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহ করার দায়িত্ব অন্য কাউকে দিলে নির্বাচন কমিশনের কিছু বলার বা করার নেই। সরকার আইন করে নির্বাচন কমিশনকে এনআইডি দেয়ার দায়িত্ব দিয়েছিল। রাষ্ট্র আবার সেই আইন সংশোধন করে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিচ্ছে। এতে নির্বাচন কমিশনের কোনো বক্তব্য নেই। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের কিছু দায়িত্ব আছে। এর ভেতরে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার বিষয়টি ছিল না। আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে বলা আছে রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা করেছে ইসি। তার উপজাত হিসেবে প্রায় ৮ কোটি তিন লাখ ভোটারের তথ্য সমৃদ্ধ ভোটার তালিকা থেকে আইন করে সেখান থেকে এনআইডি দেয়া শুরু হয়। তখন তার দায়িত্ব দেয়া হয় নির্বাচন কমিশনকে, সেখান থেকে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে ইসি এ কাজটি করে আসছে।
তিনি বলেন, সরকার আইন করে নির্বাচন কমিশনকে এনআইডি দেয়ার দায়িত্ব দিয়েছিল। রাষ্ট্র আবার সেই আইন সংশোধন করে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিচ্ছে। এতে নির্বাচন কমিশনের কোনো বক্তব্য নাই। রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যতক্ষণ ছিল, ততক্ষণ নির্বাচন কমিশন পালন করেছে। রাষ্ট্র যখন এই দায়িত্বটা অন্য কাউকে সম্পাদন করতে বলবে, তখন অন্যরা সম্পাদন করবে। এখানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু নাই। নির্বাচন কমিশন সরকারি সিদ্ধান্ত অবশ্যই মেনে চলছে, চলবে। এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আইনটি আমরা এখনো দেখিনি। গত সোমবার এনআইডির আইনটি সংশোধন করে জাতীয় পরিচয়পত্র আইন-২০২৩ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এটা পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় সংসদে যাবে। জাতীয় সংসদের বিল উত্থাপিত হবে। বিল আকারে উত্থাপন হওয়ার পর সেটি সংসদীয় কমিটিতে চলে যাবে। সংসদীয় কমিটি রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট দেয়ার পর পুনরায় সংসদে উঠবে। সংসদে এরপর আইন আকারে পাস হবে। তারপর আমরা বলতে পারব, আসলে কী হয়েছে।
এখন দুই ধরনের আইন হয়। একটায় বলা থাকে অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। অর্থাৎ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর গেজেট প্রজ্ঞাপন থেকেই কার্যকর হয়। কিছু কিছু আইন থাকে যেখানে বলা হয়, এই আইন গেজেট প্রজ্ঞাপনে তারিখ থেকে বলবৎ হবে। সেক্ষেত্রে কী আছে আইনে সেটা যেহেতু আমরা জানি না। কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ বলতে পারবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থীর ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে তারা বরিশাল সিটি করপোরেশনের ফল বয়কট করেছে এবং আগামী দুটি সিটি নির্বাচন- সিলেট ও রাজশাহী সিটির নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে ইসির বক্তব্য কি? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এটা একটা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত, তারা অংশ নেবে কি নেবে না, তা নিয়ে ইসির কিছু করার থাকে না। আরো অনেক দল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। সুতরাং এ দলটি আসবে কি আসবে না তা তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে তারা কিন্তু নমিনেশন জমা দিয়েছে, প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে, এর পরে ধরে নিতে হবে তারা ভোটে অংশ নিচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়