হাসপাতালে খালেদা জিয়া

আগের সংবাদ

অপরাধের স্বর্গরাজ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প

পরের সংবাদ

জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল : ৭ বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাইমুম সাব্বির শোভন, জামালপুর থেকে : জামালপুরসহ পার্শ্ববর্তী শেরপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও টাঙ্গাইল জেলার কয়েকটি উপজেলার ৫০ লক্ষাধিক মানুষের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ। এরপর ২০১৬ সালে পৌর এলাকার মনিরাজপুরে ৩৪ একর জমির ওপর শুরু হয় এর নির্মাণ কাজ। এই সাত বছরে মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন, নার্সিং কলেজ ও বিভিন্ন আবাসিক ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হলেও এখনো শুরু হয়নি হাসপাতালের মূল ভবনের নির্মাণ কাজ। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজের মোট ৩০টি ভবনের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হচ্ছে ২৬টির। এর সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে দুইবার এবং ৭২৩ কোটি টাকা থেকে বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৯৫০ কোটি টাকাতে। দীর্ঘদিনেও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজ শুরু না হওয়ায় চরম দুর্ভোগের কারণে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
শহরের দয়াময়ী এলাকার বাসিন্দা সাযযাদ হোসেন বলেন, “জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ, সিসিইউ সুযোগ-সুবিধা নাই। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকার কারণে প্রায়ই রোগীদের পাঠানো হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এতে অনেক রোগী যাত্রা পথেই মারা যায় এবং অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হয়।
জামালপুরের বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক সাযযাদ আনসারী বলেন, “জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ধারণা ক্ষমতার চেয়ে দুইগুণ, তিনগুণ রোগী ভর্তি থাকে। শয্যার সংকট ও সেবাসহ নানা অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে মেডিকেল কলেজের নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত।” সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে মেডিকেল কলেজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে দেরি হচ্ছে বলে দাবি করছে সংশ্লিষ্টরা।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, “এখানে ৪টি ডিপার্টমেন্টের সমন্বয়হীনতার কারণে আজকে কাজের এতটা ধীরগতি। এতে আমাদের স্বপ্ন দিন দিন ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। গণপূর্ত, সিভিল সার্জন বা স্বাস্থ্য বিভাগ, ঠিকাদার এবং মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই চার বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতা থাকায় আজকে এই অবস্থা।” দ্রুত মেডিকেল কলেজের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার দাবি স্থানীয়দের।
ব্যবসায়ী তৌফিকুল ইসলাম স¤্রাট বলেন, “আমরা জামালপুরবাসী চাচ্ছি যে অতি দ্রুত জামালপুরে এই হাসপাতালের কার্যক্রম শেষ করা হোক। এতে জামালপুরসহ আশেপাশের কয়েক জেলার অর্ধকোটি সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে এবং তাদের দুর্ভোগ কমবে।”
এদিকে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজের কয়েকটি ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও এই ভবনগুলো ব্যবহার না করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভবনগুলো।
এ বিষয়ে জামালপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন বলেন, “ভারতীয় নমনীয় ঋণের আওতায় আমাদের হাসপাতাল ভবন থাকায় এখনো দরপত্র আহ্বান করা যায়নি। এখন ডিপিপি দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। হাসপাতালটি এখন জিওবি খাতে নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে হাসপাতালসহ অন্যান্য ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়