সংসদে বিল উত্থাপন : আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

আগের সংবাদ

খুলনা-বরিশালে ‘উন্নয়ন’ ম্যাজিক : খুলনার উন্নয়ন ভাবনা ও ব্যক্তি ইমেজেই খালেকের বাজিমাত

পরের সংবাদ

মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত নারীর সন্তান প্রসব : মাকে হাসপাতালে রেখে শিশুটি পাঠানো হলো আদালতে

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : বাঘায় মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী সন্তান প্রসবের পর মাকে হাসপাতালে রেখে শিশুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে শিশুকে আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার বিকালে ৩৬-৩৮ বছর বয়সের মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর তিনি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। ওই নারী নিজের নাম ঠিকানাও বলতে পারেননি। পরিচয় না পাওয়ায় শিশুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত রবিবার দুপুরে উপজেলা সদরে শাহদৌলা সরকারি কলেজের উত্তর দিকের আমগাছের তলায় ওই নারিকে বসে থাকতে দেখেন বাঘা পৌরসভার সাবিনা খাতুন নামের এক নারী। তিনি চলে আসার পর বিকালে তার প্রতিবেশি তুহিনের বাসার গেটে সামনে প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখেন সেই নারিকে।
সাবিনা খাতুন জানান, তা দেখে সুবর্ণা নামের আরেক গৃহবধূসহ বিকাল ৪টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উম্মে হাবিবা পরীক্ষার পর প্রসব যন্ত্রণা বুঝতে পেরে ডেলিভারি রুমে পাঠান। সেখানে নার্সের তত্ত্বাবধানে কন্যা সন্তান প্রসব করেন। নার্স দিলরুবা ইয়াসমিন জানান, ওই নারি নিজের নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারছিলেন না। তবে মা-সন্তান দুজনই সুস্থ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, অজ্ঞাত পরিচয়ে ভর্তি হওয়া ওই নারি মানসিক ভারসাম্যহীন। নিজের নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারেননি। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হয়।
গতকাল সোমবার সরজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়, নিঃসন্তান দম্পত্তি অনেকেই শিশুটিকে নেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু শিশুটির মাকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি কেউ। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া শেফালি খাতুন জানিয়েছেন, তিনি শিশু ও মাকে নিয়ে লালন পালন করতে রাজি আছেন।
বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর বিষয়ে কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় শিশুকে রাজশাহীর আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শিশুকে ছোটমণি নিবাসে রাখা হবে। শিশুর মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়