সংসদে বিল উত্থাপন : আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

আগের সংবাদ

খুলনা-বরিশালে ‘উন্নয়ন’ ম্যাজিক : খুলনার উন্নয়ন ভাবনা ও ব্যক্তি ইমেজেই খালেকের বাজিমাত

পরের সংবাদ

মই দিয়ে ফ্ল্যাটে আসা যাওয়া ভোগান্তিতে ৩০ পরিবার : চন্দ্রগঞ্জে মূল ফটক ভেঙে দোকান নির্মাণ

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চন্দ্রগঞ্জ (ল²ীপুর) প্রতিনিধি : চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া গ্রামে সাফওয়ান টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট কেনেন প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন নাদিম। ১০ তলা ফ্ল্যাটের মালিকানা বুঝে নেন তিনিসহ ৩০ পরিবার। ফ্ল্যাট বিক্রেতা সামছুল আলম মেম্বার নকশা অনুযায়ী ভবনের উন্নয়ন কাজ শেষ না করে ব্যাংকের দেনায় জর্জরিত হয়ে গাঢাকা দেন। এতে বিপাকে পড়ে ফ্ল্যাটের খরিদ সূত্রে মালিক ৩০টি পরিবার। পরে বাধ্য হয়ে সবাই মিলে নকশা অনুযায়ী সীমানা প্রাচীরসহ বেশকিছু উন্নয়ন কাজ করান। সবকিছু ঠিকমতো চললেও ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের অনুপস্থিতিতে আবদুর রহমান আরজু নামে এক ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে মূল ফটক ভেঙ্গে চলাচলের রাস্তায় গড়ে তুলেছেন দোকানঘর। এতে ফ্ল্যাটটিতে এখন যাতায়াত করতে হচ্ছে মই দিয়ে।
ফ্ল্যাটের কয়েকজন মালিক ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে আরজু ড্রাইভারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তার লোকজন নাদিমকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন।
এ ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নাদিম। তবে ফ্ল্যাটের মালিক অধিকাংশই অন্য জেলার হওয়ায় তাদেরকে পাত্তা দিচ্ছেন না স্থানীয় আরজু ড্রাইভার। কথা হলে ভুক্তভোগী নাদিমসহ আরো কয়েকজন জানিয়েছেন, যে স্থানে আরজু ড্রাইভার দোকানঘর তুলেছেন, সেটা ফ্ল্যাট বিক্রির চুক্তিপত্রে চলাচলের রাস্তা ও পার্কিংয়ের জায়গা হিসেবে উল্লেখ আছে।
আব্দুর রহমান আরজুর দাবি, নিচতলার কিছু অংশ তিনি সামছুল আলম মেম্বারের কাছ থেকে কিনে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। চলাচলের রাস্তা ও মূল ফটক ভাঙ্গার মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নাদিম বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানতপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট দ্বীন ইসলামের ছেলে। গতকাল সোমবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মই হাতে ফ্ল্যাটের নিচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন নাদিম। প্রথমে দেখে মনে হলো আম পাড়তে কিংবা কোনো গাছে উঠতে যাচ্ছেন তিনি। পরে দেখা যায়, তিনি ফ্ল্যাটের ভেতরে প্রবেশের জন্য পেছনে মই দিয়ে কোনোভাবে নিজ ফ্ল্যাটে প্রবেশ করছেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা ওই ফ্ল্যাটে আর প্রবেশ করতে পারেননি। শুধু তিনিই নন, এভাবে ৩০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন চলাচলের রাস্তা ও মূল ফটক ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ করার কারণে।
অপরদিকে চলাচলের রাস্তা ও মূল ফটক ভাঙার কারণে মামলা করায় জামিনে এসে বাদীসহ ফ্ল্যাটের অন্য মালিকদের হুমকি দিচ্ছেন আরজু ড্রাইভারের লোকজন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন জানান, মামলা হওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়