প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) থেকে : অবৈধভাবে দখল করে খালের দুপাড়ে বড় বড় ইমারত, দোকানের পসরা বসেছে। একই সঙ্গে ময়লা, আবর্জনা ফেলার কারণে খালটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আগাছা ও জঙ্গলে ছেয়ে গেছে চারপাশ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার কারণে খালটি এখন মৃতপ্রায়। তবে খাল রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই তেমন কোনো উদ্যোগ।
বলছিলাম ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর শহরের আড়পাড়া-নিশ্চিন্তপুরের ওয়াপদা খালের কথা। মূলত অবৈধ ভূমিদস্যুদের আগ্রাসী গ্রাসে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ওই খালটি। বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। তাদের দাবি, অতি দ্রুত খালটি পুনঃখননসহ দখলমুক্ত করা হোক। জানা গেছে, ওয়াপদা ওই খালটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে প্রায় ২ কি.মি. এলাকা পর্যন্ত বয়ে গেছে। শহরের আড়পাড়ার পরামানিকপাড়ায় এর উৎপত্তিস্থল। খালটি পরামানিকপাড়া থেকে মহিলা কলেজের উত্তরপাশ দিয়ে বয়ে গিয়ে হাসপাতালের নিকটবর্তী চিত্রা নদীতে মিশেছে। এক সময় এই খাল দিয়েই নির্গত হতো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের বর্জ্য। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ওয়াপদা খাল এখন মৃতপ্রায়। অবৈধভাবে দখল করে খালের দুই পাশে বাড়ি, বড় বড় ইমারত, দোকান করা হয়েছে। আর অবশিষ্ট অংশে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত বর্জ্য ফেলায় দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। মশা-মাছির কারণে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়েছে। পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকাল এলেই তলিয়ে যাচ্ছে শহরের একাংশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, খালটি তদারকি করার কেউ না থাকায় যার যা ইচ্ছে করছে।
কালীগঞ্জ পরিবেশক সমিতির সভাপতি সদরউদ্দীন মিয়া বলেন, সব জলাশয় মুক্ত করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে পুনরায় খাল খনন করে পানি প্রবাহ ও পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, এমনটাই আশা করেন তিনি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে ব্যস্ত এবং বাণিজ্যিক উপজেলা। এই উপজেলার প্রাণকেন্দ্র দিয়ে ওয়াপদা খালটি প্রবাহিত হয়েছে। খালটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয়নি। এছাড়া খালটি দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি- অচিরেই প্রশাসনের সহায়তায় খালটি দখলমুক্ত করব। এছাড়া খালটিকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে সংস্কার করা হবে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।