পেঁয়াজ-সবজির দামে স্বস্তি, মাছ চড়া

আগের সংবাদ

ভোটের জন্য প্রস্তুত খুলনা কার ভাগ্যে ছিঁড়বে শিকে

পরের সংবাদ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বৈশ্বিক সম্মেলন

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বৈশ্বিক সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। আগামী শরতে প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে মানবজাতির ওপর আসা সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে হবে পর্যালোচনা। যদিও সম্মেলনে ঠিক কারা উপস্থিত থাকবেন এখন পর্যন্ত তা জানা যায়নি। প্রধান দেশগুলো থেকে প্রতিনিধিরা যুক্ত হবেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। থাকবেন শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি কোম্পানি ও নেতৃত্বদানকারী গবেষকরা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে মানুষের উপকারিতা নিশ্চিত করতে নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাজ্য। তার ভাষায়, ‘আমাদের জীবনকে বদলে দেয়ার সম্ভাবনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রয়েছে। তবে প্রযুক্তির অগ্রগতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। নিরাপদ ব্যবহারের উপায় আনতে হবে সামনে।’
সম্মেলনে উপস্থিত ব্যক্তিরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তাদের অবস্থান ও আগামীতে সম্ভাব্য ঝুঁকি তুলে ধরবেন। আলোচনার জন্য যুক্তরাজ্যই সবচেয়ে যৌক্তিক কেন্দ্র বলে মনে করেন সুনাক। প্রযুক্তি কোম্পানির শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আলোচনা করছেন তিনি। প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাজ্যের কর্মসংস্থান ৫০ হাজারের বেশি এবং বাজার ৩৭০ কোটি পাউন্ডের বেশি। অবশ্য তার পরও অনেকে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। চ্যাথাম হাউজ’স ডিজিটাল সোসাইটি ইনিশিয়েটিভের গবেষক ইয়াসমিন আফিনা বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্ত অতি উচ্চাকাক্সক্ষী। কারণ সরকার পরিচালনা ও নীতিমালা পর্যালোচনা করার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। যুক্তরাজ্যের বরং বর্তমানে গবেষণা ও প্রযুক্তির অগ্রগতি নিয়ে কাজ করা উচিত।’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে মূলত চ্যাটজিপিটির উত্থানে। গত নভেম্বরে আবিষ্কৃত হয় চ্যাটবটটি। কথোপকথনের আদলে জবাব দেয় জিজ্ঞাসার। ফলে প্রশ্ন জেগেছে বিস্ময়কর আবিষ্কারের সক্ষমতা নিয়ে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গডফাদার হিসেবে বিবেচিত জিওফ্রে হিন্টন ও অধ্যাপক ইশুয়া বেনগিও সংকেত দিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবজাতির জন্য বড় ধরনের ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসতে পারে।
অন্যদিকে মে মাসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের নেতারা সতর্ক করে দেন, প্রযুক্তির অবিবেচনাপ্রসূত অগ্রগতি মানবজাতিকে নির্মূল করে দেয়ার সক্ষমতা রাখে। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধারার রাসায়নিক অস্ত্র বানানো সম্ভব। এমন সতর্কতার পর আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন। সূত্র: বিবিসি

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়