চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। মাছের বাজারেও মিলছে না স্বস্তি। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। এদিকে আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে মাছ ও গরুর মাংস।
গতকাল শুক্রবার নগরের বেশ কয়েকটি বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি প্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে ২১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় ব্রয়লার মুরগি। বাজারে সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ টাকা। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকায়। নগরের ঈদগা কাচাবাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. সুমন বলেন, কুরবানে মুরগির চাহিদা কমে যায়। তাই এখন থেকে কমতির দিকে রয়েছে মুরগির বাজার। আশা করছি, কুরবানের আগে মুরগির দাম আর বাড়বে না। এদিকে ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১০০, কচুমুখী ১০০, লাউ ৪০ থেকে ৫০, ঢেড়শ ৪০, কচুর লতি ৬০, পেঁপে ৪০, পটল ৫০, চাল কুমড়া ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, বরবটি ৬০, চিচিঙ্গা ও ঝিঙ্গে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। মাছের বাজারেও মিলছে না স্বস্তি। বাজারে প্রতিকেজি রুই ২২০, কাতলা ৩০০, পাবদা ৪৫০, টেংরা ৪৫০ থেকে ৫০০, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৬৫০ ও পাঙ্গাস ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। বেসরকারি চাকরিজীবী মো. লোকমান বলেন, বাজারে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে মাছ, সবজি সবকিছুর দাম বাড়তি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরও বাজারে ৬০ টাকায় ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এটা বহন করা আমাদের জন্য কষ্টের।
এদিকে আগের মতোই খুচরা দোকানগুলোতে প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খোলা ময়দা ৬৫ টাকা ও প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া খোলা আটা ৫৫ টাকা ও প্যাকেটজাত আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। প্রতি কেজি চিনির দাম ১৩০ টাকা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।