তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো তিন ব্যাংকারের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

বিপাকে রোহিঙ্গারা, বিপাকে বাংলাদেশ : ভূ-রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে কমল খাদ্য সহায়তা > এক বেলা খাবারের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ কমে ৯ টাকা

পরের সংবাদ

নাটোর সদর হাসপাতাল : নার্সের পোশাক পরে নবজাতক চুরি

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক,নাটোর : নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে নার্সের পোশাক পরে এক নবজাতক কন্যা শিশুকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে এই চুরির ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে রোগী ও তাদের স্বজনেেদর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিশুটি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের মাহফুজুর রহমান ও হাসনা হেনা শিল্পী দম্পতির প্রথম সন্তান। শিশুটির বাবা নলডাঙ্গার খাজুরা সোনালী ব্যাংক শাখার ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ও মা গৃহিণী।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বৃহস্পতিবার হাসনা হেনা শিল্পীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্বাভাবিকভাবে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শিল্পী। শুক্রবার দুপুরে শিশুটি তার দাদির কোলে থাকা অবস্থায় নার্সের পোশাক পরিহিত এক নারী এসে শিশুটিকে চেকআপ করানোর কথা বলে নিয়ে যায়। অনেক সময় পরও শিশুটিকে নিয়ে না আসলে তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিন্তু কোথাও ওই পোশাক পরা নার্স ও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কিন্তু শিশু বা ওই নার্সের কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং চুরি যাওয়া নবজাতক শিশুকে উদ্ধারে অভিযানে নামে।
শিশুটির বাবা মহফুজুর রহমান জানান, হাসপাতালে নার্সের পোশাক পরে যে মহিলা তার বাচ্চাকে চুরি করে নিয়ে গেছে সে যদি নার্স না হয় তাহলে সে ওই পোশাকে নার্সের রুমে ঢোকে কি করে? তিনি তার বাচ্চাকে ফেরত চান এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন।
শিশুটির দাদি খায়রুন্নাহারসহ পরিবারের সদস্যরা জানান, নার্সের পোশাক পরে সবার সামনে থেকে একজন অপরিচিত মহিলা শিশুটিকে নিয়ে চলে গেল কিন্তু কেউ কিছু জানতে চাইল না। সন্তান জন্মের একদিন পর তাদের সন্তানটি চুরি হয়েছে। হাসপাতালের নার্সদের কর্তব্যে অবহেলা রয়েছে। তারা কোনো রোগীর দিকেই নজর দেয় না। রোগী বাথরুমে পড়ে গিয়ে রক্ত বের হলেও কোনো নার্স তাকে দেখতে যায় না।
প্রত্যক্ষদর্শী নূরজাহান জানান, ওই মহিলাটি নার্সের পোশাক পরে সকাল থেকেই ঘুরছিল। সে যদি হাসপাতালের কেউ না হয় তাহলে আসল নার্সরা কিছু বলল না কেন।
অপর প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল্লা আল মামুন জানান, তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তিনি শিশুটিকে বাইরে নিয়ে যেতে দেখেছেন। পরে ওয়ার্ডে এসে জানতে পারেন শিশুটি চুরি হয়েছে। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো সহযোগিতা করেন নাই। এরপর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের কাছ থেকেও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নাই। চিকিৎসারও বেহাল অবস্থা।
হাসপাতালের আরএমও ডা. আবু সাঈদ শিশু চুরির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সংবাদ পেয়ে তারা পুলিশ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। সিসি ক্যামেরায় ওই মহিলাকে নার্সের পোশাক পরে হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে নাটোর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে এসে সব সিসি টিভি ক্যামেরা চেক করেছেন। তিনি মনে করেন দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার ও ওই নারীকে র রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হাসপাতালের সিসি টিভি ক্যামেরায় ওই নারীর মুখ বোঝা যাচ্ছে না। তবে সে যেদিক দিয়েই বের হোক তাকে দ্রুত শনাক্ত করা হবে এবং শিশুটিকে সুস্থভাবে উদ্ধার করে তার বাবা মায়ের কোলে তুলে দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়